#কালিয়াগঞ্জ: প্রায় একাত্তর বছর আগে সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশে স্বপ্নাদেশ পেয়ে শুরু হয়েছিল মনসা পুজার প্রচলন। তারপর কাঁটা তারের বেড়া পেরিয়ে ভারতে স্থায়ী বসবাস শুরু করেন কুন্ডু পরিবার। তবে, আজও সেই রীতিনীতি মেনেই চলছে মনসা পুজো উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ শহরের পীরপুকুর এলাকায়। একটানা পাঁচদিন ধরে চলে মনসা পুজা।
এছাড়াও প্রায় ৪২ টি দেবদেবীর আরাধনা চলে শহরের পীর পুকুর এলাকায়। কুন্ডু বাড়ির মনসা পুজায় এগিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।চলে পাঁচ দিন ব্যাপী মেলা।কালিয়াগঞ্জ শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিল্লমঙ্গল কুন্ডু। ছয় ভাইয়ের একত্রিত প্রচেষ্টায় প্রতিবছর মনসা পুজাকে ঘিরে উৎসবে মেতে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিল্লমঙ্গল বাবুর কথায়, ‘ বাবা কার্তিক চন্দ্র কুন্ডু বাংলাদেশে থাকাকালীন স্বপ্নাদেশে পেয়ে শুরু করেছিলেন মনসা পুজা। সেখানে দীর্ঘ ২০ বছর পুজো হওয়ার পর স্বপরিবারে কালিয়াগঞ্জে এসে বসবাস শুরু করেন তারা। এখানেও শুরু করেন মনসা পুজা। পুজার রীতির কথা বলতে গিয়ে বিল্লমঙ্গল বাবু জানান, ‘শ্রাবনের সংক্রান্তির শেষ সোমবার ভোলেনাথের পুজো দিয়ে শুরু হয়। মঙ্গলবার হয় মঙ্গলচণ্ডী ও শীতলা পুজা।
তারপর, মনসা পুজার দিন মাটির একাধিক মূর্তির মাধ্যমে মনসা লীলা হয়। ওই দিন রাতে কালিপুজা হয়। তারপরের দিন গঙ্গা পুজো ত্রিনাথ পুজো অনুষ্ঠিত হয়। মনসা পুজার দিন বাড়ির সামনে মেলাও বসে। একটানা পাঁচ দিন ধরে চলে বিভিন্ন দেবদেবীর পুজো। ‘অন্যদিকে এই পুজোয় মেতে ওঠেন বাড়ির ছোটরাও।
