#রায়গঞ্জ: দেখতে দেখতে স্বাধীনতার ৭৬ বছর কাটিয়ে এসেছি আমরা। এখনো স্বাধীনতার প্রকৃত সংজ্ঞা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই।বিশেষ করে নারী স্বাধীনতার প্রশ্ন উঠলেই দ্বিধাবিভক্ত হয় সমাজ। কিন্তু সমাজের ওপরতলার এই বিতর্ককে সরিয়েই, জীবন সংগ্রাম কিন্তু থেমে থাকে না। যেরকম জীবন সংগ্রামের চিত্র ধরা পরল আমাদের ক্যামেরায়। প্রসাদী সরকারের বাড়ি কমলাবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাবাড়ী এলাকায়।
আর পাঁচ জন সাধারণ গৃহবধুর মতো সংসারও সামলান, আবার টোটোও চালান। কিডনি সমস্যা জনিত কারণে স্বামী শয্যাশায়ী হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাকে। ঘরে সাত বছরের ছেলেকে রেখে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রায়গঞ্জ ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় টোটো চালিয়ে বেড়ান। দিনে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় হলেও, ব্যাংক লোনের কিস্তি, স্বামীর চিকিৎসার খরচ সামলে সংসার খরচে টান পড়ে।
তিনি জানালেন, তিন মাস ধরে সংসার খরচের কথা ভেবে টোটো চালাচ্ছেন। কোনোভাবে তাতে সংসার চলে যাচ্ছে। অসুস্থ স্বামী ও ছোট সন্তানকে নিয়ে এভাবে চলা ছাড়া অন্য কোনো উপায়ও দেখতে পাচ্ছেন না তিনি। নিজের এই জীবন যুদ্ধে শামিল হয়ে প্রসাদী সরকার আবারও আমাদের বোঝালেন যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে।
