#রায়গঞ্জ: যাদবপুর কান্ড নিয়ে দিনের পর দিন চড়ছে রাজনীতির পারদ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ আন্দোলনে নেমেছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। এই পরিস্থিতিতে সোমবার রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সামনে র্যাগিং বিরোধী আন্দোলনে নামলো এ বি ভি পি। এদিন সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি চালালেন বেশ কিছু সময় ধরে। এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের জেলা সংযোজক দীপ দত্ত।
পাশাপাশি রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়েও র্যাগিং সংগঠিত হওয়ার অভিযোগ এনে দীপ দত্ত বলেন, বিষাক্ত বামপন্থা যাদবপুর কে বিছিয়ে দিয়েছে। যার বলি হয়েছে স্বপ্নদ্বীপ কুন্ডু। বঙ্কিম বিবেকানন্দের পশ্চিমবাংলায় লেনিন মাওর কোনো জায়গা নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার দ্বারা রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এক ছাত্র নির্যাতিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। কোনোরকমে সে প্রাণে বেঁচে বাড়ি ফিরেছে বলে অভিযোগ করা হয়। এদেরকে কড়া হাতে দমন করতে হবে বলে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা জানান।
অন্যদিকে যাদবপুর কান্ডের পর আরও বেশি কড়াকড়ি হতে চলেছে অ্যান্টি র্যাগিং ব্যবস্থা।রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এবং হস্টেলে র্যাগিং এর কোনো রকম ঘটনা যাতে না ঘটে তারজন্য ইউজিসির নতুন নির্দেশে তৈরি করা হচ্ছে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি, তৈরি করা হচ্ছে অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড, হস্টেলে বহিরাগতদের ঢুকতে না দেওয়ার নির্দেশ। কোনো পড়ুয়ার উপর র্যাগিং সংক্রান্ত ঘটনা ঘটলে সেই পড়ুয়ার প্রাথমিক পদক্ষেপ কী হবে সেবিষয়েও সচেতন করা হবে বলে জানান রায়গঞ্জ বিশ্ব বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার।
তবে রায়গঞ্জ বিশ্ব বিদ্যালয়ে র্যাগিং সংক্রান্ত কোনো ঘটনাই আগে কখনও ঘটেনি এবং জুনিয়াররা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে তাদের যাতে কোনো রকম সমস্যা নাহয় তার দিকে খেয়াল রাখার কথা জানান রায়গঞ্জ বিশ্ব বিদ্যালয়ের স্নাতকত্তর বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ঋতিকা রায়। যাদবপুরের হস্টেলে র্যাগিং এ আক্রান্ত হয়ে স্বপ্নদীপের মৃত্যু ঘটলেও রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে হস্টেল রয়েছে সেই হস্টেলের পরিস্থিতি বেশ ভালো।
জুনিয়ার এবং সিনিয়ারদের সম্পর্ক খুব সুন্দর। তবে যাদবপুরের ঘটনার পর রায়গঞ্জ বিশ্ব বিদ্যালয়ের তরফ থেকে র্যাগিং নিয়ে হস্টেলে নানা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বাইরের কোনো গেস্টকে হস্টেলে ঢুকতে দেওয়া যাবেনা বলে জানানো হয়েছে বলে জানায় প্রথমবর্ষের ছাত্র ফিরোজ আখতার।
