গ্রাম প্রধানের দায়িত্ব পেলেও, ভবিষ্যতে অধ্যাপনাই করতে চান তৃষা

#রায়গঞ্জঃ প্রথম বার ভোটে জিতেই কাঁধে দায়িত্ব পড়েছে পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে। এমন গুরু দায়িত্বের পাশাপাশি নিজের পড়াশোনার কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চান রায়গঞ্জ ব্লকের মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃষা প্রামাণিক রায়। জনগনের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি তাঁর এমন পড়াশোনাকে পাশে থেকে সাপোর্ট করে চলেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরাও।

শনিবার রায়গঞ্জ ব্লকের ১০ নম্বর মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দপ্তরে কাঁধে তুলে নিলেন আগামী ৫ বছরের দায়িত্ব। প্রাক্তন প্রধান কমল দেবশর্মা দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেন নব নির্বাচিত তৃষাকে। এরপর চেয়ারে বসে নিজের এলাকার সমস্যা খুঁটিয়ে শুনছিলেন নবনির্বাচিত প্রধান তৃষা প্রামাণিক রায়। তারই ফাঁকে তিনি বলেন, রায়গঞ্জ ব্লকের ১০ নম্বর মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭৬ নম্বর ফ্যাক্টরীপাড়া বুথ থেকে শাসক দল তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম।

প্রথমবার জিতে প্রধানও হয়েছি। জুলজি বিষয় নিয়ে স্নাতকোত্তর করা তৃষা দেবী বলেন, এই দায়িত্ব আমি সঠিকভাবে পালন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাই ঘরে না থেকে, সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। রায়গঞ্জ গার্লস স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং কৈলাশ চন্দ্র রাধারাণী স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা তৃষা চায় আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণা করা। সে বলে, খুব কম বয়সে বিয়ে হয়ে এই গ্রামে এসেছি।

তাই একজন লড়াকু মানসিকতা আমার মনের মধ্যে রয়েছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে সবকটি কাজ করব। বেহাল রাস্তা সারাই, পথবাতি ও জলনিকাশী বন্দোবস্তকে সুস্থ করে তুলতে হবে। এরপর সরকারি প্রকল্পের সুবিধা গুলোকে পৌঁছে দেওয়াটাও আমার দায়িত্ব। এগুলোর পাশাপাশি তাঁর দাবি, আমি আমার পড়াশোনা প্রথম ভালোবাসা। ছোট থেকেই আমি অধ্যাপনা, গবেষণা নিয়ে উৎসাহী। তাই ভবিষ্যতে গবেষণা করব। এবং গবেষণার ফলাফল গ্রাম পঞ্চায়েত পর্যায়ে কাজে লাগানো সম্ভব কি-না, তা নিয়ে ভাবব। তৃষার এমন উৎসাহ দেখে তাকে সর্বতোভাবে সহয়তা করার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর স্বামী কুশল প্রামনিকও। এমন উৎসাহী প্রধানকে পেয়ে ভীষণ খুশি এলাকার বাসিন্দারাও।

News Britant
Author: News Britant

Leave a Comment

Choose অবস্থা