#মালবাজার: দালাল চক্র বন্ধ করে সুষ্ঠ ভাবে শ্রমিকদের প্রবিডেন্ট ফান্ড ও পেনশনের টাকা ঠিক মতো পাওয়ার দাবি নিয়ে মঙ্গলবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের মেটেলি ব্লক কমিটি মালবাজার শহরে এসে জেলা প্রবিডেন্ট ফান্ড দপ্তরে ডেপুটেশন দিল।পাশাপাশি দ্রুত পেনশন সেটেলমেন্টের জন্য জেলা অফিসকে রিজিওনাল অফিসে রুপান্তর করার দাবী করা হয়। প্রবিডেন্ট ফান্ড বা ভবিষ্যৎ নিধি সরকারি বা বে সরকারি সংস্থায় কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীদের এক অমুল্য সম্পদ।


দীর্ঘদিন চাকুরী করার পর অবসরকালীন জীবনে বিশেষ কাজে লাগে। চা বাগানেও এই প্রথা চালু রয়েছে। চাকুরী করা কালীন সময়ে শ্রমিক কর্মচারীদের মজুরির এক নিদ্বিষ্ট অংশ কেটে নেন চা বাগান কর্তৃপক্ষ এবং সমপরিমান অর্থ তার সাথে যুক্ত করে প্রবিডেন্ট ফান্ড দপ্তরে জমা করেন। অবসরের পর জমা অর্থের অর্ধেক শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে জমা করা হয় এবং বাকি অর্ধাংশ থেকে মাসিক পেনশন দেওয়া হয়।


বাস্তবে ডুয়ার্সের চাবাগান এলাকায় অবসরের পর চা শ্রমিকদের তাদের প্রবিডেন্ট ফান্ডের টাকা পেতে নানান সমস্যায় পড়েন। কারও নামের বানান ভুল। আধার কার্ডের সঙ্গে পিএফ অ্যাকাউন্টে নামের সঙ্গতি নেই। এসব কারনে টাকার জন্য হন্য হয়ে ঘুরতে হয়। এই অবস্থার সুযোগে চা বাগান গুলিতে তৈরি হয়েছে দালাল চক্র। তারা শ্রমিকদের প্রবিডেন্ট ফান্ডের অর্থ এবং পেনশন চালু করার ব্যবস্থা করে দিয়ে বিপুল টাকা আত্মসাৎ করেন।


এই দালাল চক্রের অবশান এবং জেলা অফিসকে রিজিওনাল অফিসে রুপান্তর করার দাবী প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের মেটেলি ব্লক সভাপতি জোশেফ মুন্ডার নেতৃত্বে এদিন বিভিন্ন চাবাগানের শ্রমিক প্রতিনিধিরা পিএফ আধিকারিক এস,এন ঝাঁ’য়ের সঙ্গে দেখা করে স্মারক লিপি দেন।
পরে শ্রী মুন্ডা বলেন, বিভিন্ন চাবাগানে অবসরের পর শ্রমিক কর্মচারীরা প্রবিডেন্ট ফান্ডের টাকা পেতে দালালদের চক্করে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব বন্ধ করে শ্রমিকরা যাতে সঠিক ভাবে পেনশন পান।

সেটেলমেন্ট যাতে দ্রুত হয় তার জন্য জেলা অফিসকে আর ও অফিসে রুপান্তর করার দাবীতে স্মারক লিপি দিয়েছি। বাস্তবে পিএফ দপ্তরে কোটি কোটি টাকার কেলেংকারি আছে। কেন্দ্র সরকার সব জায়গায় ইডি, সিবিআই পাঠাচ্ছেন। আমাদের দাবী পিএফ দপ্তরের এই কেলেংকারির জন্য নিরপেক্ষ সংস্থা দিয়ে তদন্ত করা দরকার। তাহলে এসব দূর হবে।

এনিয়ে পিএফ আধিকারিক এস, এন,ঝাঁ বলেন, ওনারা বেশকিছু সমস্যা নিয়ে এসেছিলেন। কয়েকটি কেস তাৎক্ষণিকভাবে মেটানো হয়েছে। ওনাদের বলেছি অবসরের পর দ্রুত অনলাইনের মাধ্যমে ক্লেম করতে। এছাড়াও আমি দ্রুত মালিক পক্ষের সংগঠন গুলিকে চিঠি দিয়ে জনাব যাতে তারা অবসরের পর শ্রমিক ও কর্মচারীদের প্রাপ্য নিয়ে লিস্ট করে প্রবিডেন্ট ফান্ড দপ্তরে ক্লেইম করেন। তাহলে সমস্যা মিটবে। বাস্তবে চা শ্রমিকদের অঞ্জতা ও শিক্ষার অভাবে এই সমস্যা হচ্ছে। এসব মেটাতে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে।




Author: News Britant
Post Views: 80