আনন্দবিদ্যাপীঠের টিআইসির বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয় ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

#মালবাজার: মালবাজার শহরের ৭নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে সরকারি অনুমোদিত আনন্দ বিদ্যাপীঠ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এই স্কুলের টিচার্স ইনচার্জ হিরালাল রবিদাসের বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয় ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করলো স্কুল শিক্ষিকাদের একাংশ।এই বিষয়  নিয়ে সোমবার শিক্ষিকারা  অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে অভিযোগ করেন।
এদিন স্কুলের শিক্ষিকা তমালিকা ভট্টাচার্য, বিদিশা ঘোষাল সহ কয়েকজন শিক্ষিকা স্কুলের অফিসে দাঁড়িয়ে বলেন, এই স্কুলে গত দুই বছর যাবৎ বিভিন্ন অনিয়ম চলছে। স্কুলের পড়ুয়াদের কাছ থেকে আইকার্ড বাবদ টাকা নেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত পড়ুয়ারা আইকার্ড পায়নি।মিড- ডে মিলের রান্নাকারীরা তাদের মজুরি সময় মতো পাচ্ছেন না।স্কুলের ফান্ডের টাকা নয়ছয় হচ্ছে। এসব কথা জানাতে গেলে শিক্ষিকা ও প্যারা টিচাররা মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
স্কুলের টিচার্স ইনচার্জ পরিচালন সমিতির সভাপতির স্মাক্ষর জাল করে ব্যাংকের থেকে টাকা তুলেছেন এই কথা সভাপতি নিজেই জানিয়েছেন। এহেন টিআইসির জন্য স্কুলের সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। এজন্য আজ আমরা এস আইয়ের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু, উনি আমাদের অভিযোগ নেয় নি। স্কুলে এসে মেটাবেন বলেছেন”।
বিদিশা ঘোষাল বলেন, আমি স্কুলে আসা সত্বেও আমার অ্যাটেডেন্স মুছে দিয়ে লালকালি দিয়ে অ্যাবস্যান্ট দেখানো হয়েছে। এভাবেই মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছি।
এনিয়ে জানতে চাওয়া হলে স্কুল পরিচলন সমিতির সভাপতি শিক্ষারত্ন সরিফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষিকাদের অভিযোগের বাস্তবতা আছে।টিচার্স ইনচার্জ আমার সই জাল করে ব্যাংকের থেকে ১.৬৩ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন। কিন্তু, পরে তিনি টাকা আবার জমা করে দিয়েছেন। যেহেতু এই স্কুলের শিক্ষিকা, শিক্ষক দের মধ্যে থেকে কেউ টিআইসির দায়িত্ব নিতে চায় নি।তাই এই মুহুর্তে সাসপেন্স করা যায়নি। নতুন হেডমাস্টার এলেই ওনার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এনিয়ে স্কুলের টিচার্স ইনচার্জ হিরালাল রবিদাস বলেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে ওই টাকা তুলতে হয়েছিল। পরে তা আবার জমা করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সমস্যার জন্য এবছর পড়ুয়াদের আইকার্ড দেওয়া যায়নি। যেহেতু বছর প্রায় শেষ তাই সামনের বছর শুরুতেই আইকার্ড দেওয়া হবে।তারজন্য অর্থ নেওয়া হবেনা। আর হাজিরা খাতায় উপস্থিতি মুছে দিয়ে আমি যেমন ভুল করেছি তেমনি উপস্থিত না থেকে উপস্থিতির স্মাক্ষর করে শিক্ষিকারাও ভুল করেছেন। এভাবেই স্কুলের শিক্ষিকা ও টিআইসির সংঘাতে স্কুলের পঠনপাঠন বিঘ্ন হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
News Britant
Author: News Britant

Leave a Comment

Choose অবস্থা