

#মালবাজার: দিন কয়েক আগেই শ্রমিক অসন্তোষ ছড়িয়েছিল মেটেলির সামসিং চা বাগানে। এবারে একই মালিকানাধীন নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙা চা বাগানে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শ্রমিক বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে। বকেয়া পাওনাকে কেন্দ্র করেই ওই অসন্তোষ। দীর্ঘ কয়েক মাস পিএফের টাকা জমা না পড়া, বর্ধিত মজুরির এরিয়ারের টাকা না মেলা, অমিল থাকা সাল ছুটি, ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মজুরি প্রদানের মতো ইস্যুগুলিকে তুলে ধরে এদিন বাগানের শ্রমিকরা অফিসের সামনে জড়ো হয়ে পরিচালকদের সামনে তাঁদের ক্ষোভ উগড়ে দেন।


ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানিয়েছেন, তাঁদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করে রাখার জন্যেই এদিন সবাই একজোট হয়ে স্বতঃস্ফুর্তভাবে বিক্ষোভে শামিল হন। শ্রমিকরা জানান, তাঁদের মজুরি থেকে পিএফ কাটা হলেও তা জমা পড়ছে না। এখনও পুরো সাল ছুটি দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট মারফৎ মজুরি দেওয়া হচ্ছে। অথচ সেই টাকা তোলার মতো পর্যাপ্ত পরিকাঠামো সেখানে নেই। ফলে সব শ্রমিক টাকা ওঠাতে পারছেন না। এতে বিপাকে পড়ছেন তাঁরা।


বামনডাঙার ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার সৌম্য ঘটক জানান, ৮ মাসের পিএফ জমা পড়েনি। এর একটি কারণ অনেক শ্রমিকের আধার তথ্য সংশোধন হয়নি। পিএফ অ্যাকাউন্ট এর সঙ্গে আধার তথ্যের অসংগতি রয়েছে। পাশাপাশি বাগানটি যখন অন্য মালিকের হাতে ছিল সেইসময়ের বকেয়া থাকা পিএফ কিস্তিতে জমা দেওয়ার জন্য পিএফ দপ্তরের কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল। ওই বিষয়টির এখনও সমাধান হয়নি।


তা হয়ে গেলেই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সাল ছুটি শুক্রবার থেকেই দিয়ে দেওয়া হবে। বাগান পরিচালক জানান, মজুরির বকেয়া এরিয়ারের টাকা পুজোর বোনাসের পর দেওয়া হবে এমন সিদ্ধান্ত শ্রমিক ইউনিয়নগুলির সঙ্গে কথা বলেই নেওয়া হয়েছিল। তারপরও এদিন যে ঝামেলা পাকানো হয়েছে এর পেছনে বহিরাগত কেউ কেউ জড়িত বলে মনে হচ্ছে।




Author: News Britant
Post Views: 586