

#মালবাজার: আর মাত্র হাতে গোনা ৪০ দিন। আকাশে গত কয়েকদিন ধরে প্রখর রোদ। দিনের বেলা তাপমাত্রার পারদ ৩৮ ডিগ্রিতে ছুয়ে ফেলেছে। সেই ঝকঝকে রোদে নদীর কাশ ফুল দোলা দিচ্ছে। কুমারপাড়ায় শুরু হয়ে গেছে প্রচন্ড ব্যাস্ততা। পাড়ায় পাড়ায় খুটি পুজা করে শুরু হয়ে গেছে তোরজোর। মা’ আসছেন।


মা’য়ের আগমনকে কেন্দ্র করে ডুয়ার্সে চা বলয়ে এক আলাদা আবেগ দেখা। হাট বাজার থেকে চাবাগানের সবুজ গালিচায় এক ভিন্ন অনুভুতি ফুটে ওঠে। সেই সাবেক কাল থেকে ডুয়ার্সের চাবাগান গুলিতে পুজার সময় শ্রমিকদের বোনাস দেওয়া হয়। মজুরির পাশাপাশি বাড়তি টাকা হাতে পেয়ে চা শ্রমিকরা ডুয়ার্সের হাটে বাজারে কেনাকাটা করতে আসে।


স্বাভাবিক ভাবে জামাকাপড়, জুতা প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানে উপছে পড়ে ভীড়। দোকানীরাও এই সময়ের অপেক্ষায় থাকে। যদিও চাবাগান গুলির বোনাস বিঞ্জপ্তি এখনো জারি হয় নি। সেই দিকে তাকিয়ে আছে চা শ্রমিক থেকে ডুয়ার্সের ব্যবসায়ীরা।তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে পুজার অনুদান বাড়িয়ে দিয়েছেন।


তাতেই তোরজোর শুরু করে দিয়েছে পুজা কমিটি গুলি। অনেকেই খুটি পুজা দিয়ে প্যান্ডেল বানানোর কাজ শুরু করেছে। ডুয়ার্সে আলাদা কুমারপাড়া না থাকলেও মৃৎশিল্পীরা এদিক ওদিক অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে। মালবাজার থানা মোর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে প্রতিমা নির্মাণের কাজ করেন অরুন পাল।

তার ছেলে কাজল পাল জানান, মুর্তি নির্মাণের মাটি থেকে অন্যান্য সামগ্রীর দাম প্রচুর বেড়েছে। সেই তুলনায় প্রতিমার দাম বাড়েনি। পাশাপাশি মাঝে মাঝে বৃষ্টির জন্য সমস্যা হয়। এসব মেনেই সময় মতো ডেলিভারি দিতে হবে। চালসার শালবাড়ি মোরে প্রতিমা বানাচ্ছেন শিল্লী লক্ষ্মণ পাল। আগেভাগে শুরু করে কাজ অনেকটা এগিয়ে নিয়ে এসেছেন। মুর্তির পাশাপাশি খুঁটি পুজা দিয়ে প্যান্ডেলের কাজ শুরু হয়ে গেছে। সোমবার বিশ্বকর্মা পুজার পর থেকে পুরাদস্তুর সবাই নেমে পড়বেন পুজার আনন্দে।




Author: News Britant
Post Views: 296