

#মালবাজার: কালিম্পং জেলার গরুবাথান পাহাড় থেকে নেমে আসা খরস্রোতা চেল নদীতে যখন তখন জল বেরে যায়। গত কয়েকদিন আগেও হঠাৎ করেই হড়পা বান এসে যায় এবং নদীর জল হঠাৎ করে বেড়ে যায়। যার ফলে জলস্তর বেড়ে জাতীয় সড়কের ওপর সেতুর কাছে নদীর চেহারা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলো বলে জানা গেছে। সেই সময় তীব্র গর্জনে নদীর জলস্রোত সরাসরি পূর্ব এবং পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে।


ক্ষুদীরামপল্লীর দিকের দূর্বল বাঁধে ধাক্কা মারে সেই জল। যার ফলে তারজালি বিহীন দূর্বল বাঁধের বোল্ডার সব খসে পড়ছে বলে জানা গেছে।
সেই সময় যে প্রচন্ড গতিতে নদীর জলস্রোত বাঁধে ধাক্কা মারছিলো তাতে যে কোনও মুহুর্তে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে যেতে পারতো ক্ষূদীরামপল্লী এলাকাসহ নিচু এলাকায়।


বিগত তিন দশকে বাঁধ ভেঙে লোকালয় তছনছ করার একাধিক অতীত ইতিহাস রয়েছে চেল নদীর৷ এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গিয়েছে যে এলাকায় জলস্রোতের ধাক্কায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই সময় নদীর মাঝ খান বালি পাথর জমে উচু হয়ে গেছে। তাই নদীর মাঝ খানে জল প্রবাহিত হতে না পেরে নদীর দুই কুলে ধাক্কা মারছে চেল নদীর জল।

ফলে সম্ভাব্য বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেতে একদিকে যেমন নদীর উঁচু চরে ড্রেজিং করে জলরাশিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এই চেল নদীর পুর্ব প্রান্তে রয়েছে বালি পাথরের হ্যাপার কল। যেখানে প্রায় ২০০-৩০০ শ্রমিক কাজ করে৷ এই ফ্যাক্টরির মালিক রতন গর্গ বলেন, ভাড়ি বৃষ্টি হলে, চেল নদীর জল ক্ষতি করতে পারে চেল নদীর বাধের।

তাতে বিপদের আশঙ্কা করছি আমরা। পাহাড়ি এই নদী যদি বাধ ভেঙ্গে ফ্যাক্টরি বা গ্রামের দিকে ঢুকে যায়, তাহলে প্রচুর ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই অবিলম্বে নদীর মাঝখানে ড্রেজিং করা জরুরী। কারন এই মহুর্তে নদীর গতিপথ মাঝখান দিয়ে না নিলে, সামনে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। এব্যাপারে প্রশাসন কে চিঠি করেছি।

তিনি আরও বলেন প্রশাসন কে চিঠি মারফত জানিয়েছি, আমাদের কম্পানী নির্খচায় নদীতে ড্রেজিং করে নদীর গতিপথ ঠিক করে দেবে। যাতে গ্রামগুলো বাঁচে এবং আমাদের ফ্যাক্টরি এবং এলাকার কৃষি জমিও বাঁচে। এ প্রসঙ্গে মালবাজারের বিডিও শুভজিত দাশগুপ্ত জানান, “এব্যাপারে সেচ দপ্তর ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে নদী বাঁধের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে”।

অন্যদিকে বর্ষার জন্য তিন মাস ধরে বন্ধ ডুয়ার্সের সব নদী। এই সময় নদীতে নেমে কোন গাড়ি বালি পাথর তুলতে পারবে না। তারপরও গতকাল রাত মাল ব্লকের ধুমসিগাড়া এলাকায় ঘীস নদী থেকে একটি ১২ চাকার ডাম্পার বালি পাথর লোড করে শিলিগুড়ি যাবার পথে, মালবাজার পুলিশ আটক করে সেই ডাম্পার। রাতে মালবাজার থানায় নিয়ে যাওয়া হয় সেই গাড়ি। আটক করা হয়েছে গাড়ির চালককেও।


Author: News Britant
Post Views: 301