#রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ শহরে আবার অনলাইন আর্থিক প্রতারণার ঘটনা ঘটল। শহরের পরিচিত স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ড: অনিকেত চ্যাটার্জী এবং তার স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে মোট প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা খোয়া গেল। জানা গেছে, রবিবার সকালে একটি নম্বর থেকে ডাক্তারবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এক ব্যক্তি এবং বলেন তিনি বি এস এফ এ কর্মরত।
এমনকি তিনি নিজের পরিচয় পত্রও হোয়াটসঅ্যাপ মাধ্যমে পাঠান। ওই ব্যক্তি জানান কয়েকজন মহিলা ডাক্তার বাবুর কাছে নর্মাল চেক আপ করাতে যাবেন এবং তাতে ওনার ফিসও জানতে চান। এরপর সিকিউরিটি চেকের কথা বলে ডক্টর চ্যাটার্জী কে দশ টাকা পাঠাতে বলেন। উনি দশ টাকা পাঠাতে গিয়ে দেখেন ওনার অ্যাকাউন্টে দশ টাকা যোগ হয়েছে।
এরকম দুবার হওয়ার পর ওনাকে একত্রিশ হাজার দুশো পঞ্চাশ টাকা দিতে বলেন ওই ভদ্রলোক। কিন্তু সেই টাকাটি ডক্টর চ্যাটার্জীর অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে যায়। নেটওয়ার্ক ইস্যুর কথা বলে ওই ভদ্রলোক অন্য অ্যাকাউন্ট থেকে আবারও টাকা পাঠাতে বলেন। বি এস এফ এর পোশাক পরা দেখে, পরিচয় পত্র দেখে এবং কথাবার্তা সঠিক মনে হওয়ায় নিশ্চিত হয়ে ডক্টর চ্যাটার্জী ওনার স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে আবার আট হাজার টাকা পাঠান।
এই টাকাটিও অ্যাকাউন্ট থেকে ডেবিট হয়ে যায়। তারপর থেকে তাদের সঙ্গে কোনোভাবেই আর যোগাযোগ করতে পারছেন না তিনি। ততক্ষনে ওনার এবং ওনার স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা প্রতারণা হয়ে যায়। এ বিষয়ে সাইবার প্রতারণার অভিযোগ নির্দিষ্ট দপ্তরে করেছেন তিনি। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনিকেত বাবুর পরিচিত পার্থ প্রতিম অধিকারী জানান, আধার কার্ডের মাধ্যমে টাকা জালিয়াতি এখন সর্বত্র হচ্ছে।
উনি প্রশ্ন তোলেন, আধার কার্ডের মাধ্যমে যদি এমনভাবে টাকা তছরুপ হয় তাহলে তার সমাধান নিশ্চয়ই থাকা উচিত নইলে কারোরই টাকা সুরক্ষিত থাকবে না। এই বিষয়ে তিনি কটাক্ষ করে বলেন আমরা কি বাইকে চাবি লাগিয়ে দিয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়ি!
