#মালবাজার: বিশ্বকর্মা পুজার দিনে অন্যান্য বছরের মতো ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের ধুপঝোড়া পর্যটন কেন্দ্রের গাছবাড়িতে মহা সমারোহে অনুষ্ঠিত হলো হাতি পূজা। এই উৎসবে মেতে উঠল বনকর্মীদের সাথে স্থানীয়রা। যোগ দিল ঘুরতে আসা পর্যটকেরা। বিশ্বকর্মার বাহন হাতি তাই সেই সাবেক কাল উত্তর বঙ্গের বনাঞ্চল সংলগ্ন এলাকার মানুষ হাতির আক্রমণ থেকে হাতির পুজো দিয়ে আসছেন।


কেউ কেউ স্থলভাগের বৃহত্তম জীবকে
মহাকাল বলে সম্মোধন করেন। এজন্য বনের আশেপাশে বহু জায়গায় মহাকালের পুজো হয়।সম্ভবত এই কারণে বিশ্বকর্মা পুজার দিনে বন বিভাগের গাছবাড়ি সংলগ্ন পিলখানায় হাতির পুজা দেওয়া। বিগত বেশ কয়েক বছর যাবৎ এই পুজা হয়ে আসছে। এই সকালে এই উপলক্ষে পিলখানার ৬ কুনকি হাতি বর্ষন, জেনি, হিলারি, রাজু মাহুতরা নিয়ে যান পাশের মুর্তি নদীতে। সেখানে তাদের স্নান করানো হয়।


এরপর রংবেরংয়ের চক তাদের শরীরে আঁকা হয়। তাদের নাম শরীরে উপর বড় করে লিখে নিয়ে নিয়ে আসা হয় পিলখানার মাঠে। লাইন দিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়। চলে পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণ। ধুপ দীপ জ্বালিয়ে বরন করা হয়। যতক্ষণ পুজা চলে ততক্ষণ হাতি দের উপোস করিয়ে রাখা হয়।পুজার শেষে ফল ও অন্যান্য জিনিস খেতে দেওয়া হয়। এরপর বিশ্রামের পালা। এদিন হাতিদের দিয়ে কোন কাজ করানো হয়না। আজ তাদের ছুটি। হাতি পূজা দেখতে অনেকে ভীড় করে। হাতি পুজা দেখতে এসে খুশি পর্যটকরা।

তবে এদিন হাতিদের পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করতে এসে বিপত্তির মাঝে পড়েন বনবিভাগের পশু চিকিৎসক ডা: শ্বেতা মন্ডল। এদিন তিন গাছবাড়িতে হাতিদের পরীক্ষা করতে এসে হাতির সামনে যান। সেই সময় এক কুনকি তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় এবং তেড়ে আসে। কিন্তু, মাহুতদের তৎপরতায় দুর্ঘটনা ঘটেনি। পরে অবশ্য ডা: মন্ডল ওই হাতিটির শারীরিক পরীক্ষা করেন।





Author: News Britant
Post Views: 417