বিশ্ব হাতি দিবসে ডুয়ার্সের বিভিন্ন স্থানে হাতি- মানুষ সংঘাত এড়াতে সচেতনতা শিবির

#মালবাজার: ডুয়ার্সের মাল, মেটেলি, নাগরাকাটা সহ বিভিন্ন এলাকার চাবাগান ও গ্রামাঞ্চলে বুন হাতির হামলা বেড়েই চলছে। গ্রামাঞ্চলে হানা দিয়ে মাঝেমধ্যে ফসল খেয়ে সাবার করছে হাতি। বাড়িঘর ভেঙে জমা খাওয়ার খেয়ে চলে যাচ্ছে। এইরকম পরিবেশে মানুষ ও হাতির সংঘাত বাড়ছে। এতে উদ্বিগ্ন বন বিভাগ থেকে পরিবেশ প্রেমীরা।
এরকম পরিবেশে শনিবার ছিল বিশ্ব হাতি দিবস। এই উপলক্ষে এদিন নাগরাকাটা ব্লকের বনাঞ্চল ঘেরা শিবচুতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্পোর’য়ের উদ্যোগ স্থানীয় মানুষ ও স্কুল পড়ুয়া দের নিয়ে হাতি- মানুষ সংঘাত এড়াতে এক সচেতনতা শিবির করা হয়।
সেখানে সংস্থার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ পাণ্ডে, তমাল দাস, অর্কপ্রভ সরকার, সৌরভ মন্ডল, বন্যপ্রান শাখার খুনিয়া স্কোয়ার্ডের রেঞ্জার সজল কুমার দে এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা ও পড়ুয়ারা। রেঞ্জার ও সংস্থার কর্মীরা
হাতি ও মানুষের মধ্যে সংঘাত এড়াতে কি কি করনিয় তা বর্ননা করেন। এদিন চালসার কাছে বনবস্তি চালসা ন্যাচার স্টাডি এন্ড অ্যাডভেঞ্চার সোসাইটির তরফে স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে এক হাতি বিষয়ক শিবির করা হয়।
সেখানে বিশিষ্ট পরিবেশ প্রেমী মানবেন্দ্র দে সরকার বলেন, হাতি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও অনুভবি প্রানী। খাদ্যের সন্ধানে বস্তি এলাকায় হানা দেয়। ঘ্রাণ শক্তি প্রবল থাকায় কোথায় খাবার আছে খুঁজে নেয়। সাধারণত আক্রমণ মুখি নয়। কিন্তু, পরিস্থিতি পরিপ্রেক্ষিতে সংঘাত হয়। এই প্রবনতা এড়াতে মানুষকেই দায়িত্ব নিতে হবে।
এদিন বিকালে ওদলাবাড়ি ন্যাচার এন্ড অ্যাডভেঞ্চার সোসাইটির পক্ষ থেকে হাতি নিয়ে এক শিক্ষা মুলক সেমিনার করা হয়। সেখানে পরিবেশ প্রেমী নফসর আলি বুনো হাতির গতিবিধি ও কোরিডোরে নিয়ে আলোচনা করেন। এভাবেই হাতি দিবসে হাতি ও মানুষের সংঘাত এড়াতে বিভিন্ন স্থানে সচেতনতা শিবির হয়।
News Britant
Author: News Britant

Leave a Comment

Choose অবস্থা