



#কলকাতাঃ অবশেষে জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার কেন্দ্রের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের শেষে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, রাজ্যে এখনই চালু হচ্ছে না নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি। একই সঙ্গে নতুন শিক্ষানীতিতে ধ্রুপদী ভাষার তালিকায় বাংলা না থাকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, এর আগে জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা করে তামিলনাড়ু সরকারও স্পষ্ট জানিয়েছিল, নতুন শিক্ষানীতি তাদের রাজ্যে চালু করা সম্ভব নয়।
এদিন নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি এন ই পি ২০২০ কীভাবে তা প্রণয়ন হবে, তার পরামর্শ করতেই এদিন সমস্ত রাজ্যের রাজ্যপাল, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক ডাকেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যোগ দিয়ে নিজের বক্তব্য রাখেন। তিনি শিক্ষাব্যবস্থায় ন্যূনতম সরকারি হস্তক্ষেপের পক্ষে সওয়াল করেন। কিন্তু নতুন শিক্ষানীতিতে যে পদ্ধতিতে পড়াশোনার কথা বলা হয়েছে, তার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলতে আর্থিক সংস্থান কী?
কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে কার কতটা অংশীদারীত্ব থাকবে? এসব প্রশ্নের উত্তর না মেলায় জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির ডাকা ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরপরই সংবাদমাধ্যমকে পার্থবাবু বলেন, ‘এখনই এ রাজ্যে নতুন শিক্ষানীতি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘ভারতের মতো বহু ভাষাভাষীর দেশে যে নমনীয়তা প্রয়োজন, কেন্দ্র তা দেখাচ্ছে না। শিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরণের পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। বিদেশে যেরকম শিক্ষানীতির চল আছে একই রকম ভাবে ভারতেও এই শিক্ষানীতি শুরু করতে চাইছেন কেন্দ্র সরকার।’ সঠিক পদ্ধতি না মানলে এই নীতি চালু করা সম্ভব নয় বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেন তিনি।
