



#দেবলীনা ব্যানার্জী, রায়গঞ্জ: আলু ছাড়া কি বাঙালির চলে? কিছু না থাকলেও নিদেনপক্ষে আলুভাতে খেয়ে তো টিকে থাকা যায়। কিন্তু সে সুখের দিনও শেষ। বর্তমান বাজারে আলুর চড়তে থাকা দাম মধ্যবিত্তের হেঁশেল থেকে আলুভাতের সুখ কেড়ে নিতে চলেছে বলাই যায়। খুচরো বাজারে আলু চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রায়গঞ্জের বাজারগুলিতে হাজির হয়েছিলেন পুলিশ প্রশাসন ও রায়গঞ্জ মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা। রাজ্য সরকার আলুর যে দাম বেঁধে দিয়েছেন সেই দামেই আলু বিক্রির নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি বিক্রেতাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন তাঁরা।
এদিন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা বাজারে ঢুকলে ব্যবসায়ীরা বলেন পোখরাজ আলু ২৮ টাকা এবং জ্যোতি আলু ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। যদিও ক্রেতাদের বক্তব্য ছিল পোখরাজ আলু ৩০ থেকে ৩২ টাকা এবং জ্যোতি আলু ৩২ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন দাম নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ জানান তারা।অন্যদিকে খুচরো বিক্রেতাদের দাবি,তাদের চড়া দামে আলু কিনতে হচ্ছে তাই এত দাম। ৫০ কেজি পোখরাজ আলুর দাম পড়ছে ১২৫০ টাকা এবং জ্যোতি আলুর দাম পড়ছে ১৩৫০ টাকা।পাইকারদের দাবি,তারা পোখরাজ কিনছেন ১২১০ টাকা এবং জ্যোতি কিনছেন ১৩৫০ টাকা।আলুর পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান চাহিদা অনুযায়ী আলু আসছে না বলে দামটা বেশি। এদিন আলু পাইকারদের গোডাউনে গিয়ে আধিকারিকেরা ন্যায্য মূল্যে আলু বিক্রির পাশাপাশি কেমিকেল মেশানো আলু বিক্রি করা যাবে না বলে সাবধান করে দেন।
রায়গঞ্জ মার্চেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক অতনু বন্ধু লাহিড়ী জানান,আলুর উৎপাদন কম হওয়ায় এবারে বাজারে যোগান কম।সেই সঙ্গে মিড ডে মিলে এবং করোনার জন্য ত্রান সামগ্রী হিসাবে আলু দেওয়ায় বাজারে আলুর চাহিদা বেড়েছে, কিন্তু যোগান নেই।ফলে দাম কিছুটা বেড়েছে।কৃষি দপ্তর যদি কৃষকদের আলু উৎপাদনে উৎসাহিত করে ভালো হয়।রেগুলেটেট মার্কেটিং সোসাইটির সেক্রেটারি বিরাজ কৃষ্ণ পাল জানান,আয়াদের কাছে অভিযোগ ছিল বেশি দামে বাজার গুলিতে আলু বিক্রি হচ্ছে। সেই অভিযোগ পেয়েই আমরা আজ বাজারে হানা দেই।পাইকারদের পাশাপাশি খুচরো ব্যবসায়ীদের সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রির জন্য বলে দিয়েছি।এরপরেও যদি তারা কথা না শোনেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য গত সোমবার ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করেন কৃষি,মার্কেটিং ও পুলিশ প্রশাসন।
