News Britant

স্কুল বন্ধ দীর্ঘ ছয় মাস, ভবিষ্যতের কৃষক তৈরি হচ্ছে ফসলের মাঠে

Listen

( খবর টি শোনার জন্য ক্লিক করুন )

#ইসলামপুর: দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস অতিক্রান্ত। স্কুল যায়নি ওরা। করোনা সংকটের জন্য স্কুল যাওয়া হয়ে ওঠেনি ওদের। কিন্তু স্কুলের বদলে এখন নিয়মিত ফসলের ক্ষেতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে সেই সময় কাজ করতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। এভাবেই কাটছে সময় ওদের। পঠন-পাঠনের বদলে বড়দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করছে ছোটরাও। এমনই চিত্র দেখা যাবে বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকাগুলিতে। কারণ সেখানে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সেই বিষয় থেকে অনেকটাই দূরে সরে এসেছে পড়ুয়ারা। এমনকি পঠন-পাঠনের আগ্রহও কমে গেছে ওদের।

তাই বাড়িতে পড়ুয়াদের বসিয়ে না রেখে হাতে কলমে রোপণ থেকে শুরু করে ওদের ফসল কাটার কাজ শেখাচ্ছেন অভিভাবকরা। আগামীর কৃষক এভাবেই তৈরি হচ্ছে মাঠে ময়দানে। বিভিন্ন জায়গায় পড়ুয়ারা অনলাইনে ক্লাস শুরু করলেও গ্রামীণ এলাকায় মানুষদের কাছে স্মার্ট ফোন না থাকায় তারা তাদের পরিবারের শিশুদের অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস করাতে পারছেন না। ফলে দীর্ঘ ছয় মাসে পঠন-পাঠন থেকে ক্রমশ দূরত্ব তৈরি হচ্ছে শিশুদের। স্কুল খোলা না পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান আদৌ সম্ভব নয়। এটাও তাঁরা বেশ ভালো করেই জানেন।

প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকার অধিকাংশ পরিবারের অভিভাবকরাই জানান, দিনের পর দিন স্কুলে যেতে না পেরে পঠন-পাঠন থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে পড়ুয়ারা। সেই সময় ওরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল ক্ষুদেরা। এই করোনার আবহে সেটাও ঠিক নয়। তাই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ফসলের মাঠেই কাটছে ওদের সময়। পাশাপাশি বেশ কয়েক ঘণ্টা স্কুলে থাকাতে সেখানে পড়াশোনা, খেলাধুলা দুটোই হত। কিন্তু এখন সেই সময়টা ওই পরিবারের ছেলেমেয়েরা যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর তাই নিজের জমিতেই পড়ুয়ারা কাজ করছে। এক জেরে মাঠে ফসল লাগানো ও কাটার ক্ষেত্রে এখন আর অতিরিক্ত শ্রমিকের প্রয়োজন হচ্ছে না।

 

News Britant
Author: News Britant

Leave a Comment