



#রায়গঞ্জঃ এশিয়ার বৃহত্তম পক্ষিনিবাসের খেতাব মাথায় নিয়ে ফের আরও একবার শুরু হল রায়গঞ্জ ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারীর অন্তর্গত রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষিনিবাসের পাখি গণনার কাজ। প্রতিবছরের মত এবছরও বন দপ্তরের উদ্যোগে শুরু হল এই কাজ। বনদপ্তরের আহ্বানে এই গণনার কাজে অংশ নেয় উত্তরদিনাজপুর পিপল ফর এনিমেলস এর সদস্যরা এছাড়াও আরও দুটি এনজিও রায়গঞ্জ পিপল ফর এনিম্যালস ও হেমতাবাদ জনকল্যাণ সমিতির সদস্যরা অংশ গ্রহণ করেন।
বনদপ্তরের রেঞ্জার প্রতিমা লামা ও ডেপুটি রেঞ্জার বরুন সাহা মহাশয় এবং উঃ দিনাজপুর পিপল ফর এনিম্যালস এর সম্পাদক গৌতম তান্তিয়া সহ বনদপ্তরের কর্মীরা এই গণনার কাজে ছিলেন। ২০১৮ সালে কুলিকে পাখির সংখ্যা রেকর্ড পরিমান প্রায় ১ লক্ষের কাছাকাছি যা ২০১৯ এ একটু কমে যায়। তবে এবছর বৃষ্টির জন্য গণনার কাজ ধির গতিতে হলেও গণনার দিন যে পরিমান পাখির দেখা মিলেছে তাতে হয়তো ২০২০ সালে সব রেকর্ড ভেঙে যাবে বলে আশা করছে বনদপ্তর থেকে এনিজিও সংগঠনগুলি।
বর্ষা ঢোকার মুখেই কুলিক পক্ষিনিবাসে এই পাখিগুলো এসে হাজির হয়। প্রতিবছর জুন-জুলাইয়ে বর্ষা এলেও এবছর আগে ভাগে বৃষ্টি শুরু হয়েছে তাই এবছর পাখির সংখ্যা যে বাড়বে তা আশা করা যাচ্ছে। কোন উপায়ে পাখি গণনা চলছে? প্রথমে প্রতিটা গাছে নাম্বারিং করা হয়েছে। প্রতিটা গাছে কটা করে পাখির বাসা আছে সেগুলো গোনা হবে এবং একটি বাসায় মা-বাবা সহ সাধারণত চারটি পাখি থাকে সেগুলো গোনা হলে সমস্ত গাছে গোনা পাখির বাসার সংখ্যা হিসেব আরব গড় করে সম্পূর্ণ পাখির সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।
বর্ষাকালে রাস্তার ধার দিয়ে গাছগুলো সাদা হয়ে যায়।পাখিদের আনাগোনায় বোঝা যায় বর্ষার খবর।তবে এত পরিমাণ পাখি এলেও এই পাখিদের পরিমাণ বাড়াতে হলে আমাদের সতর্ক হতে হবে। এই বিষয়ে উঃ দিনাজপুর পিপল ফর এনিম্যালস এর সম্পাদক গৌতম তান্তিয়া বলেন, “অবৈধভাবে পুকুর ভরাট বন্ধ করতে হবে এবং নদী দূষণ রোধ করতে হবে এছাড়া কুলিকের ধার ঘেঁষে ধান চাষের জন্য রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা হয় তা বন্ধ করতে হবে। দূষণ রোধ করতে হবে তবেই রক্ষা করা যাবে রায়গঞ্জের গর্ব এই কুলিক পক্ষীনিবাসকে”।
