



#চন্দ্র নারায়ণ সাহা, রায়গঞ্জঃ পশ্চিম বঙ্গে মৌসুমী বৃষ্টি ঢুকেছে। এই পরিস্থিতিতে কেমন থাকবে, উত্তরের সমভূমি, তরাই, ডুয়ার্সের আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া, জেনে নিন একনজরে। উত্তর বঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীন কৃষি মৌসম সেবার প্রিন্সিপাল নোডাল অফিসার অধ্যাপক শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আগামী ১৬ই জুন থেকে ২০শে জুন পর্যন্ত এই ৫ দিনের আবহাওয়ায় আকাশ মেঘলা থাকবে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে আগামী ১৬, ১৯ ও ২০শে জুন অল্প ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া ১৭ ও ১৮ই জুন মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।উত্তর দিনাজপুরে আগামী ১৬ থেকে ২০শে জুন মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আগামী পাঁচ দিন কোচবিহারে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২-৩৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫-২৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থাকতে পারে। বাতাসের সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৮৮-৯২% এবং সর্বনিম্ন আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৫৯-৬৭% থাকতে পারে। এই পাঁচ দিন ঘন্টায় ৮-১১ কিমি বেগে বাতাস বইতে পারে।
জলপাইগুড়িতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২-৩৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫-২৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থাকতে পারে। বাতাসের সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৮৮-৯২% এবং বাতাসের সর্বনিম্ন আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৫৮-৭২% থাকতে পারে। এই পাঁচ দিন ঘন্টায় ৭-১০ কিমি বেগে বাতাস বইতে পারে। আলিপুরদুয়ারে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২-৩৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫-২৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থাকতে পারে।
বাতাসের সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৮৮-৯৩% এবং বাতাসের সর্বনিম্ন আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৬৩-৭৪% থাকতে পারে। এই পাঁচ দিন ঘন্টায় ৫-৬ কিমি বেগে বাতাস বইতে পারে। এই পাঁচ দিন উত্তর দিনাজপুরে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০-৩১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬-২৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থাকতে পারে। বাতাসের সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৮৬-৮৮% এবং বাতাসের সর্বনিম্ন আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৫৩-৬৬% থাকতে পারে।
এই পাঁচ দিন ঘন্টায় ১০-১৩ কিমি বেগে বাতাস বইতে পারে। চাষিভাইদের জন্য কৃষি পরামর্শ হিসেবে বলা হয়েছে যে, এই পাঁচ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় জলসেচের প্রয়োজন নেই। ফসলে প্রয়োজন মত রাসায়নিক স্প্রে করতে হবে। ফসল পেকে গেলে ভুট্টা কাটা শুরু এবং পাটের জমি তৈরি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও বলা হয়েছে যে, বীজ সংগ্রহ, বীজ বপন করা, জমির নিকাশি ব্যবস্থা ভালো করতে হবে, যাতে অতিরিক্ত জল জমি থেকে বেরিয়ে যায়।
