



#রায়গঞ্জ: পরিযায়ী শ্রমিকের বাইরে থাকার সুযোগ নিয়ে স্ত্রীয়ের জমি লুকিয়ে নিজের নামে রেকর্ডের অভিযোগ উঠলো এক প্রতিবেশীর ওপরে। ইটাহারের কেউটাল গ্রামের বাসিন্দা কোহিনূর বেগমের অভিযোগ তাঁর স্বামী আনোয়ার হোসেন ভীনরাজ্যে শ্রমিকের কাজে যুক্ত ছিলেন। ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী নিজের কাজের থেকে পাওনা টাকা এবং স্বামীর কাছ থেকে পাওয়া সংসার খরচের টাকা থেকে কিছু অংশ অনেক কষ্টে জমিয়ে প্রায় ৭২,৬০০ টাকায় গ্রামেরই বাসিন্দা লক্ষীকান্ত বর্মনের কাছ থেকে ১১ শতক চাষের জমি কেনেন। রায়গঞ্জে জমিটি রেজিস্ট্রিকরণ করার পর সেই বছরেই ইটাহার বিএলআরও অফিস থেকে জমির রেকর্ড করে নেন। কোহিনুর বেগম অভিযোগ, ” ২০১৫ সালে জমি কিনে নেওয়ার পর থেকেই ওই জমিতে চাষাবাদ করে যাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু লকডাউনের পরে বিশেষ কারনে ইটাহার বিএলআরও অফিস থেকে প্লট ইনফরমেশন নিতে গিয়ে জানতে পারেন তাঁর জমি কেউটাল গ্রামেরই অরুন কুমার বর্মন ওরফে উরেন্দ্র বর্মনের নামে রেকর্ড হয়ে আছে৷ “
কোহিনূর বেগমের আইনজীবী কৌশিক দত্ত জানান, ” তাঁর মক্কেলের কাছে বৈধ নথিপত্র যেমন জমির দলিল এবং রেকর্ড থাকা সত্বেও কোন অসাধু চক্রের হাতে পরে জমির রেকর্ড অন্যের নামে করে দেওয়া হয়েছে। বিএলআরও, ডিএল আরও থেকে শুরু করে জেলা শাসকের কাছেও চিঠি করে বিগত দেড় মাসে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।”
যদিও অভিযুক্ত অরুণ কুমার বর্মণে অসুস্থ থাকায় তাঁর সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।ওনার ছেলে শেখর বর্মনের মতে সমস্ত জমিটার মালিক তারাই।মোট ৫৬ শতক জমির মধ্যে ১৯৭৬ সালে ৩৩ শতক এবং ১৯৭৭ সালে ২৩ শতক জমি কেনা হয়। তিনি জানান,” জমিটা আদৌ ওনাদের দখলে নেই। ওই জমিতে আমি ঘর করেছি এবং দোকান করেছি।তিনি বলেন,ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারির জন্য মামলা করেছিল। কিন্ত তা খারিজ হয়ে যায়।এরপর আমি বি এল আর ও অফিসে গিয়ে রেকর্ডের জন্য আবেদন করি। কিসের ওপর ভিত্তি করে জমির রেকর্ড হল বিএলআরও বলবেন। তিনি বলেন,জোর করে জমি নেওয়া যাবে না।কারন জমিটা আমার,কাগজও আমার।” যদিও এব্যাপারে ইটাহারের বিএলআরওর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রেকর্ড না দেখে কিছু বলতে পারবেননা বলে জানিয়েছেন।
