



#মালবাজার: একদিকে চলছে প্রবল বর্ষন। পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় ধস পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এখন পর্যন্ত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। এরই মাঝে বুধবার খুলে দেওয়া হয়েছে বনের দরজা। তবে বন দপ্তর করোনা আবহে কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করেছেন। বনের দরজা খুলে গেলও ডুয়ার্সে এবার পর্যটকদের ভীড় নেই। এতেই খানিকটা হতাশ পর্যটন ব্যবসার সাথে জরিত বিভিন্ন পেশার মানুষ। সেই মার্চ মাস থেকে লকডাউনের জন্য বন্ধ হয়ে যায় ডুয়ার্সের লজ ও রিসোর্টগুলি।
সেপ্টেম্বর মাস থেকে আস্তে আস্তে লজ গুলি খুললেও পর্যটকদের আনাগোনা সেরকম নজরে আসেনি। বেশিরভাগ লজ ও রিসোর্টগুলি বোর্ডার শুন্যই আছে। বুধবার থেকে বনের দরজা খোলার পরেও সেরকম পর্যটকদের দেখা পাওয়া যায়নি। বাতাবাড়ি এলাকার অন্যতম পরিচিত রিসোর্ট রহমান ফার্ম হাউজ। বুধবার তিনি জানান, আজ আমার কোন বুকিং নেই। শনিবার বুকিং আছে। এখন এভাবেই চলতে হবে। লাটাগুড়ির এক রিসোর্ট মালিক জানান, পর্যটকদের আসার মতো পরিকাঠামো এখনও স্বাভাবিক হয়নি।ট্রেন চালানোর জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
টেনে চালু না হলে ভীড় দেখবেন কিভাবে। বন খুলে গেলেও অনলাইন বুকিং চালু হয়েছে। তাই ভীড় নেই। তার উপর বৃষ্ঠি চলছে। মালবাজারের এক লজ মালিক জানান, অন্যান্য বছর আগের থেকে বুকিং হয়। পুজোর আগে ও পরেও বুকিং থাকে। এবার সেই বুকিং নেই। লজ পরিস্কার করে খুলেছি। বোর্ডার নেই। এবছর এভাবেই চলতে হবে। চালসার এক ছোট গাড়ির চালক জীবন বনিক জানান, এখন টুকটাক ভাড়া হয়। টুরিস্ট না এলে সেরকম ভাড়া হয় না। মালবাজার, চালসা, বাতাবাড়ি, লাটাগুড়ি এলাকার বেশিরভাগ লজ রিসোর্ট গুলি প্রায় ভীড় হীন দেখা গেছে।
