



#মালবাজারঃ গত কয়েকদিন চলছে প্রবল বর্ষণ। সেই বর্ষনের শিলিগুড়ি থেকে সিকিম, কালিম্পং ও ডুয়ার্স গামী পাহাড়ি রাস্তায় পড়েছিল ধস। যোগাযোগ হয়েছিল বিচ্ছিন্ন। যদিও জাতীয় সরক কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত তৎপরতায় ধস সরিয়ে যাতায়াত স্বাভাবিক করে। তবুও ধস প্রবন এলাকায় দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। সেভক থেকে কালিম্পং ও সিকিম যাওয়ার রাস্তা এন এইচ ১০। বর্ষার সময় এই রাস্তায় ধ্বস পড়া ও রাস্তা ভাঙন নিত্য নৈমত্তিক ঘটনা। বিশেষ করে ২৭ মাইল থেকে ২৯ মাইল এলাকা ও ১০ মাইল ও শ্বেতীঝোড়া এলাকা।
গত তিনদিন আগে লাগাতার প্রবল বৃষ্টির ফলে ধ্বস ও রাস্তার ভাঙনে গত দুইদিন ধরে কালিম্পং ও সিকিম যাওয়ার রাস্তা ছিল বন্ধ। সমস্যা তৈরী করেছিল শ্বেতীঝোড়ার কাছে ৩০ মিটার ধ্বস।সেখানে রাস্তা ধসে যায়। পাহাড়ের কোল থেকে মাটি কেটে সেই তিরিশ মিটার ভাঙন ভরাট করতে দিন রাত পরিশ্রম করেছে৷ এন এইচ ১০ কর্তৃপক্ষ। সহকারী বাস্তুকার উত্তম ছেত্রী জানান শনিবার সকাল থেকে আবার কালিম্পং ও সিকিম পর্যন্ত গাড়ী যাতাযাত করছে। এদিকে এনেইচ ৩১ এলাকায় সেভক কালীবাড়ীর কাছে ৩ ও ৪নংগোলাই এর কাছে আজ শনিবার সকালে ধস পড়ার ফলে সকালে কিছুক্ষন গাড়ী চলাচল বন্ধ থাকে।
পরে অবশ্য রাস্তা থেকে ধ্বস ও কাদামাটি সরিয়ে যান চলাচল আরম্ভ হয়। তবে কিছুটা জায়গায় ওয়ান ওয়ে ট্রাফিক আছে। গত একমাসের মধ্যে সেভক পাহাড়ে ছয়দিন এরকম ভুমি ধ্বস হল। একটা আশংকা তৈরী হয়েছে যে ওই রাস্তায় বাস চালাতে ইতস্তত করছেন বাস চালকরা। যদি বাসের উপরে পাথরের চাই ভেঙে পড়ে সেই আশংকায় করেছে অনেক চালক। ধস পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা গত এক মাসে ৬ বার হয়েছে। এই কারনে সেভকে তিস্তার উপর দ্বিতীয় এক সেতু নির্মাণের দাবি উঠেছে ডুয়ার্স জুড়ে।
