




#নিউজ বৃত্তান্তঃ ‘ওমিক্রন’ কোভিডের শেষ পর্ব কিনা – এই প্রশ্ন এখন মানুষের মনে ভীষনভাবে ঘুরপাক খাচ্ছে। এবং স্বাভাবিক কারণেই দীর্ঘ প্রায় দুই বছরের অসহনীয় দমবন্ধ করা পরিস্থিতি থেকে কিছুটা হলেও মুক্তির আলোর আভাস দেখে স্বস্তি পাচ্ছেন সবাই। ইতিমধ্যেই ইসরাইলের একজন ভাইরাস বিশেষজ্ঞ, ডাঃ আফসাইল ইমরানি জানিয়েছেন যে ওমিক্রন আসলে এখন করোনাভাইরাস আক্রমণের ক্ষেত্রে প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিনের মত কাজ করবে।
আসলে ওমিক্রনের চরিত্র আমাদের পরিচিত করোনা ভাইরাসের থেকে অনেকটাই আলাদা। সবচেয়ে আশার কথা এর ক্ষতিকারক এবং প্রাণঘাতি চরিত্রের দিকটি। এখনো পর্যন্ত যা চিত্র তাতে দেখা যাচ্ছে করোনার প্রথম ঢেউয়ে যেখানে ১০% এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ে ১০-১২% আক্রান্তের হাসপাতালে ভর্তির দরকার হচ্ছিল সেখানে ওমিক্রনের ক্ষেত্রে তা ১% এর চেয়েও কম। এখানেই আশার আলো দেখছি আমরা।
যে কোনও ভাইরাসের চরিত্রই এমন- বেশ কিছুদিন তীব্রতা নিয়ে থাকার পর আস্তে আস্তে কমতে কমতে একসময় বিদায় নেয়। সেই পরিচিত চরিত্র বিধি দেখেই এমনটা ভাবা হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যেই কিন্ত আরো দুইটি নতুন স্ট্রেইনের সন্ধান মিলেছে।একটি ইসরাইলে (FLORONA), অন্যটি ফ্রান্সে (IHU)। এদের সম্পূর্ণ চরিত্র এখনো সামনে আসেনি।
তবে করোনাকালে শুরু থেকেই যেভাবে বিভ্রান্তিকর, পরস্পর বিরোধী তথ্য এবং নির্দেশিকা এসেছে বিভিন্ন সময়ে (এমনকি স্বাস্থ্যের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা World Health Organisation- WHO) তাতে আশার আলোর মধ্যেও একটা শঙ্কার জায়গা থেকেই যায়। তাছাড়া যেভাবে পরিকল্পনাহীন এবং নিয়ন্ত্রণবিহীনভাবে বিভিন্ন ওষুধ যথেচ্ছভাবে ব্যবহৃত হয়েছে তাতেও ভাইরাসের চরিত্রের দ্রুত বদল ঘটার সম্ভাবনাও তীব্র।
তবে একথা প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে ওমিক্রন কোভিড-১৯ এর প্রানঘাতী চরিত্রের শেষ পর্ব। এরপর সম্ভবত সভ্যতার তেমন মারাত্মক ক্ষতি না করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পর্যায়ে চলে যাবে (Commensal)। তবে একটি কথা মাথায় রাখতে হবে যে এই সময়ে যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের সব্বাই যে ওমিক্রন ভেরিয়েন্টেই সংক্রমিত হচ্ছেন জিনোমিক সিকোয়েন্স টেস্ট না করে তা নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না। দুর্ভাগ্যবশতঃ এই পরীক্ষার সুযোগ সীমিত।
