



#রায়গঞ্জঃ সোমবার সকাল থেকে বোমের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল রায়গঞ্জ শহর থেকে একটু দূরে ইটাহার থানার অন্তর্গত হাতিয়া পালইবাড়ির নানাহার শ্মশান এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে ইটাহার থানার পুলিশ। অবশেষে ব্যাগটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে গৌতম দাস বলেন, আজ সকালে উঠে হাতিয়া গ্রামের পলাইবাড়ি এলাকার নানাহার শ্মশানে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়। কিছুদিন আগে হেমতাবাদের বাহরাইলে পার্সেল বিস্ফোরণের কারণে এলাকার বাসিন্দারা সবাই আতঙ্কিত হয়ে গেছে। ব্যাগে বোমা আছে, ভেবে সবাই বেশ আতঙ্কিত হয়ে আছি।
ইটাহার থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। ওনারা এলে টের পাওয়া যাবে, যে ভেতরে ঠিক কি আছে।’ কথা বলতে বলতেই এসে পৌছায় ইটাহার থানার পুলিশ। তারা এসে নানা ভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। স্থানীয় বাসিন্দা ফটিক চন্দ্র দাস বলেন, ইটাহার থানার পুলিশ এসে ব্যাগ খুলে দেখে, ব্যাগের ভেতর রয়েছে বেশ কিছু দামী কাপড়চোপড়।
উদ্ধার হয় একটি মানি ব্যাগ। যেখানে কিছু ফোন নম্বর লেখা আছে। দ্রুত তদন্ত শুরু হয়েছে।’ স্থানীয় বাসিন্দা যিনি এই ব্যাগটি প্রথম পড়ে থাকতে দেখেন, সেই কার্তিক চন্দ্র দাস বলেন, ‘সকালে যখন হাঁটতে বের হই, তখন এসে দেখি নানাহার শ্মশানের মায়ের মন্দিরের সামনেই একটা ব্যাগ পড়ে আছে। স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা যে ধরনের ব্যাগ ব্যবহার করে, সেরকমই একটা ব্যাগ এখানে পড়ে আছে।
ব্যাগ মালিকের খোঁজ না পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে ব্যাগটি থেকে বেশ কিছু জামাকাপড় উদ্ধার করেনিয়ে গেছে। এর ফলে ভোর থেকে সৃষ্টি হওয়া আতঙ্ক কাটল।’ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ব্যাগে রাখা ফোন নম্বর ধরে ব্যাগটির মালিকের খোঁজ করা শুরু হয়েছে। তবে আশেপাশে এলাকায় কেউ এখনও অবধি নিখোঁজ হয়েছে কি না, সেটা জানার পরই ব্যাগ রহস্যের কিনারা হতে পারে।
