



#মালবাজারঃ ডুয়ার্সের মাল পৌর নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষিত হয়েছে। প্রার্থীরা যে যার মতো মনোনয়ন জমাও দিয়েছেন। স্কুটেনি হয়ে গেছে। প্রার্থীরা এখন প্রচারে ব্যাস্ত। এই প্রচারের মাঝে ওয়ার্ড ভিত্তিক পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। মালবাজার শহরে রয়েছে ১৫ ওয়ার্ড ও ২৮ টি। মোট ভোটার প্রায় ২৩ হাজার। বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচার চলছে। কিন্তু, সবার নজর রয়েছে শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দিকে। এই ওয়ার্ডে ৩ হেভিওয়েটের মাঝে রয়েছে এক নবীন তুর্কী।
১ নম্বর ওয়ার্ডে গত ৭ বছরে নানান উন্নয়ন মুলক কাজ হলেও এখনো বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। রাস্তার সমস্যা, পানীয়জলের সমস্যা পথ বাতির অপ্রতুলতা রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এখন নির্বাচন সমাগত। সবার আশা আগামী দিনে কে এই সমস্যার পূরণ করে। ১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী রয়েছে এবার প্রার্থী হয়েছেন বিদায়ী বোর্ডের চেয়ারম্যান তৃণমূল নেতা স্বপন সাহা। স্বপন বাবু এর আগে এই ওয়ার্ড থেকে জিতেছেন। ওয়ার্ডের নারী নক্ষত্র তার চেনা।
এই ওয়ার্ডে রয়েছেন বিজেপির টাউন মন্ডলের সভাপতি দেবাশীষ পাল। এছাড়া রয়েছেন এই ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন এই ওয়ার্ড থেকে এর আগে ২০০৪ সালে জেতা বিজেপির হেভিওয়েট নেতা মানিক বৈদ্য। তিনি এবার নির্দল হিসাবে প্রার্থী হয়েছেন। তিন এই হেভিওয়েটের মাঝে রয়েছেন নবীন ও তরুন সিপিএম প্রার্থী সোমনাথ দত্ত। ৩ হেভিওয়েট প্রার্থীই অন্য ওয়ার্ডের বাসিন্দা। স্বপন বাবু আদপে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। দেবাশীষ পাল ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। নির্দল প্রার্থী মানিক বৈদ্য ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সিপিএমের সোমনাথ দত্ত একমাত্র ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
আদর্শ কলোনি, রামকৃষ্ণ কলোনি, ক্যালটেক্স মোরের আংশিক ও তাঁতিপাড়া নিয়ে শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে। মোট ভোটার ১২১৯ জন। গোটা ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেল বিদায়ী বোর্ডের চেয়ারম্যান স্বপন সাহার পোস্টার ও ফ্লেক্সে ছয়লাপ।সিপিএমের সোমনাথ দত্ত জানান, আমরা আজ থেকে ফ্লেক্স লাগানো শুরু করব। স্থানীয় বাসিন্দা অমর দাস বলেন, এই ওয়ার্ডে সমস্যা বিশেষ নেই। ভৌগোলিক কারণে উত্তর দিকে থাকায় মার্চ এপ্রিল মাসে কুয়োর জল শুখিয়ে যায়। সমস্যা মেটাতে কয়েকটি নলকূপ খনন করা হয়েছে।
রাজীব দে জানান এলাকায় পথবাতির সমস্যা রয়েছে। হাইমাক্স লাইট ঠিকমতো জ্বলে না। আবাসন প্রকল্পের বহু বাড়ি অর্ধ নির্মিত আছে। আশা করি আগামী পৌর বোর্ড এই সমস্যাগুলি দেখবে। ঘনবসতিপূর্ন এই ওয়ার্ডে নানান সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করেন। আগামী ১৫ দিন জোরকদমে প্রচার চলবে। দেখা যাক আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মানুষ কাকে বেছে নেয়। কার ভাগ্যে সিঁকে ছেরে।
