



#মালবাজার: প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রাথমিকভাবে বাধা পেয়েও পরে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন শহরের ২ ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী বৈজু রাউত। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে রইলেন তিন দলীয় প্রার্থী। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ত্রিমুখী লড়াই দেখা যাবে তিন দলের মধ্যে। মালবাজার শহরের পুর্ব প্রান্তে মাল নদীর ধারে মহাকাল পাড়া, কুমার পাড়া, ক্যালটেক্স মোরের খানিক অংশ নিয়ে গঠিত ২ নম্বর ওয়ার্ড।
মোট ভোটার ২১৫৮ জন। পৌর ভোট সমাগত। এবার এই ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট পেয়েছেন দলের প্রভাবশালী শ্রমিক নেতা পুলিন গোলদার। তিনি গত পৌর নির্বাচনে ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতে ছিলেন। এবার ১২ নম্বর ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হওয়ায় দল তাকে ২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছেন। বিজেপির হয়ে এই ওয়ার্ডে দীপক বিশ্বকর্মা প্রার্থী হয়েছেন।
সিপিএমের থেকে দাঁড়িয়েছেন কালীপদ দাস।তপসীলি জাতির জন্য সংরক্ষিত এই আসনে এবার ত্রিমুখী লড়াইয়ে ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। গত পৌর নির্বাচনে এই ওয়ার্ড থেকে বিদায়ী বোর্ডের চেয়ারম্যান স্বপন সাহা নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার সংরক্ষিত হওয়ায় তিনি সরে আসেন ১ নম্বর ওয়ার্ডে। ঘিঞ্চি জনবসতিপূর্ন এই ওয়ার্ডে নানান ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করেন।
এই ওয়ার্ডে রয়েছে শ্মশান ঘাট, জল প্রকল্প, জঞ্জাল প্রক্রিয়া করনের কেন্দ্র। রাস্তার পরিসর কম থাকায় কিছু সমস্যা হয়। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য গত ৭ বছরে এলাকার জঞ্জাল সাফাই, নর্দমা সাফাই হয়েছে। পথবাতি ওয়ার্ডে দেওয়া হয়েছে। তবে কিছু নালায় আবজর্না জমে থাকায় বর্ষায় নিকাশির সমস্যা হয়। পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে নলকূপ খনন করা হয়েছে।
তবে এই ওয়ার্ডের অন্যতম সমস্যা মালনদীতে জমা হওয়া জঞ্জাল। শহরের সমস্ত জঞ্জাল এই নদীর বুকে ফেলা হয়। এতে দূর্গন্ধ ও দুঃষন ছড়ায়। এর আগে এই সমস্যা নিয়ে একাধিক পরিবেশ প্রেমী সংগঠন সোচ্চার হয়েছে। যদিও বিদায়ী বোর্ডের চেয়ারম্যান শেষ বোর্ড মিটিংয়ের পর জানিয়ে ছিলেন। ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জমি পাওয়া গেছে দ্রুত এই সমস্যা মিটে যাবে। এই ওয়ার্ডে তিন প্রার্থীর মধ্যে ধারে ও ভারে পুলিনবাবু অনেকটা এগিয়ে।
ইতিমধ্যেই দেওয়াল লিখন ও ফ্লেক্স দিয়ে ওয়ার্ডে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। তার অনুগামী অজয় লোহার জানান দাদা এবার রেকর্ড ভোটে জিতবেন। পুলিন গোলদার নিজেই জানান, ” জিতে আসার পর ওয়ার্ডের যেসব সমস্যা রয়েছে তার সমাধান করার চেষ্টা অবশ্য করব। ডাম্পিং গ্রাউন্ডের বিষয়টিও দেখা হবে। গোটা ওয়ার্ড ঘুরে বিজেপির বা সিপিএমের ফ্লেক্স বা দেওয়াল সেরকম নজরে আসেনি।
তবে একদা লালদূর্গ হিসাবে পরিচিত থাকা এই ওয়ার্ডে এখনো কিছু বাম ভোট রয়েছে। বিজেপির কর্মী সমর্থকদের আশা আবাসন প্রকল্পের কাজ নিয়ে যা হয়েছে তাতে মানুষের মোহ ভঙ্গ হয়েছে। এবার ফল অন্যরকম হবে। এখন দেখার বিষয় আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মানুষ কাকে বেছে নেয়।
