



#মালবাজার: রাজ্যের বিভিন্ন পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ডুয়ার্সের মালবাজার শহরের ১৫ আসনেও একই দিনে নির্বাচন হবে। ১৫ টি আসনের চালচিত্র ও রাজনৈতিক অবস্থানের সতন্ত্রতা রয়েছে। বুধবার শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা গেল এক অন্য পরিস্থিতি। মালবাজার শহরে ৬ নম্বর এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ড।
শহরের ডেইলি মার্কেট, বাসস্ট্যান্ড, বিডিও অফিস, স্টেশনরোড, বয়েরবস্তি সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাকেন্দ্র এই ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে। ওয়ার্ডের মোট ভোটার ১৪৪৫ জন। বাঙালী, বিহারি, নেপালী সহ নানা সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করে। মাল পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর থেকে এই ওয়ার্ড বামেদের অন্যতম সরিক আরএসপির দখলে ছিল। ২০১৫ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের তরুন প্রার্থী রূপক সিনহা আরএসপি কাছ থেকে এই ওয়ার্ড দখলে আনে।বিজেপির হাওয়ায় সেবার বিজেপি প্রার্থী পঙ্কজ তেওয়ারি দ্বিতীয় স্থানে থাকে।
বাম প্রার্থী তৃতীয় স্থানে নেমে আসে। গত ৭ বছরে এই ওয়ার্ডে যথেষ্ট কাজ হয়েছে। তৈরি হয়েছে আধুনিক বাসস্ট্যান্ড, মিউজিকাল ঝর্না, ক্লক টাওয়ার সহ বেশ কয়েকটি দর্শনীয় প্রকল্প। কাজ হলেও এখনো নিকাশি নালা, রাস্তা, পানীয়জলের সমস্যা। নিকাশি নালা নিয়মিত সাফাই হয়না বলে স্থানীয় দের অভিযোগ রয়েছে। এজন্য বর্ষায় মশা মাছির উপদ্রব বাড়ে। বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ ঘটে। এহেন এক ওয়ার্ড এবার মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে।
তাই বিদায়ী কাউন্সিলর রুপক সিনহার দিদি দোলা সিনহাকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে। প্রার্থী হয়েই তিনি প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। পোস্টার ফ্লেক্স পতাকা দিয়ে ওয়ার্ড মুড়ে দিয়েছেন। নিজেই জানালেন, জেতার বিষয়ে ১০০ শতাংশ আশাবাদী। জিতে প্রথম নিকাশি নালার সমস্যা মেটাব। রাস্তা সংস্কার করব। এর সাথে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেব। বিজেপির এই ওয়ার্ডে সংগঠন ভালো রয়েছে। গত লোকসভা ও বিধানসভায় ভালো ভোট পেয়েছে।
তাই দল সাবেক টাউন মন্ডল সভাপতি তথা গত পৌর নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা পঙ্কজ তেওয়ারির স্ত্রী ঝর্না তেওয়ারিকে প্রার্থী করেছে। ফ্লেক্স, পতাকা দিয়েছেন। প্রচার চালাচ্ছেন। নিজে জানালেন, জিতব নিশ্চিত। জিতে মানুষের পাসে থাকব। ওয়ার্ডের সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ নেব। এই ওয়ার্ড এক সময় আর এস পির দখলে ছিল। ২০১১ সালের পর থেকে সংগঠনে ভাঙ্গন ধরে। ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনে তৃতীয় স্থানে নেমে যায়। তারপর থেকে সংগঠন বাড়েনি।
তাই এবার ঘুরে দাড়াতে দল তরুণী শিক্ষিতা গৃহবধূ ভদ্রিকা শর্মা সুবেদিকে প্রার্থী করেছে। তরুণী এই প্রার্থী এখনো সেরকম প্রচার করতে পারেন নি। নিজেই জানালেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের সাথে কথা বলে সমস্যা শুনছি। এখানে একটা বিয়ের অনুষ্ঠান আছে। সেটা মিটে গেলেই পোস্টার ফ্লেক্স লাগাব। জিতে নিকাশি সমস্যা ও রাস্তার সমস্যা মেটাতে তৎপর হব। তিন দলের তিন প্রার্থী লড়াইয়ে মাঠে থাকলেও মুল লড়াই হবে দুই ফুলে এমনটা ধারনা স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে। এখন দেখার ২৭ ফেব্রুয়ারি মানুষ কাকে বেছে নেয়।
