



#ইটাহারঃ রায়গঞ্জ শহর থেকে মালদার দিকে যেতে দূর্গাপুর ও ইটাহারের মাঝে অবস্থিত শ্রীপুর। এখানে কোনো সরকারি বাসের স্টপেজ ছিল না। ফলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে স্থানীয় কৃষি জীবি মানুষেরা প্রায়ই নানা বাঁধার সম্মুখীন হতেন। অবশেষে ইটাহারের বিধায়ক মোশাররফ হোসেনের তৎপরতায় পূরণ হতে চলেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি।
আপাতত মালদা – রায়গঞ্জ রুটের সমস্ত সরকারি বাস দাঁড়ানোর নির্দেশিকা পৌচ্ছেছে। এরপর সরকারি বাসের পাশাপাশি বেসরকারি বাস গুলোও দাঁড়াবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা তথা শিক্ষক মিঠু সরকার বলেন, ‘এটা আমাদের বহুদিনের দাবি ছিল। এখানে উচ্চমাধ্যমিক স্কুল, মাদ্রাসা, প্রাথমিক স্কুল সব আছে। কিন্তু দূরের পড়ুয়ারা খুব কষ্ট করে আসে।
স্থানীয় বাসিন্দা বাপ্পাদিত্য রায় বলেন, শ্রীপুর হল এই অঞ্চলের কেন্দ্রবিন্দু। এই বাসস্ট্যান্ড দিয়ে বহু মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু মালদা গামী বাস থামে না বলে আমাদের বহু ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়তে হয়। এর আগে স্কুলে যখন পড়তাম, তখন পথ অবরোধ করেছিলাম। তখনকার আন্দোলন সফল হয় নি। এখন স্থানীয় বিধায়কের তৎপরতায় এটা সম্ভব হওয়ায় আমরা ভীষণ খুশি।
একই ভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শ্রীপুরের বাসিন্দা প্রমথ কুমার রায় ও রাকেশ রায়। তারা বলেন, এই সু-সংবাদে আমাদের কৃষি কাজের সাথে জড়িতদের পক্ষে অনুকূল হবে। সরকারি বাস থামলে স্বাভাবিক ভাবেই বেসরকারি দূরপাল্লার বাসও দাঁড়াবে বলে তাদের বিশ্বাস। স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষক সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এই খবরে এই এলাকার বাসিন্দা সহ সরকারি কর্মীদের হয়রানি কমবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মত পরিসেবা পেতে অনেক সুবিধা হবে। শ্রীপুর সন্নিহিত অঞ্চলে অনেকগুলো উচ্চমাধ্যমিক স্কুল, জুনিয়র হাই স্কুল, প্রাথমিক স্কুলের পাশাপাশি স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে।
শিক্ষার প্রয়োজনে পড়ুয়াদেরকে রায়গঞ্জ বা মালদা যেতে অনেকটা সময় নষ্ট করতে হত। এছাড়া চিকিৎসার প্রয়োজনে এলাকাবাসীকে নিত্য দুর্ভোগ সহ্য করতে হত।’ স্থানীয় বিধায়ক মোশারফ হোসেনের দাবি, এই সরকারি সিদ্ধান্তের ফলে আমার এলাকার বহু মানুষেরা নিত্য যান যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন। এলাকার বাসিন্দারা সরকারি সুবিধা পেলে আমার ভালো লাগবে।
