



#রায়গঞ্জঃ ছাত্র নেতা তথা CAA বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ আনিস খানের মৃত্যুতে এবার মুখ খুললেন রায়গঞ্জ লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ তথা সিপিআইএমের নেতা মহঃ সেলিম। এদিন উত্তর দিনাজপুর জেলার দলীয় দপ্তরে আনিস খানের মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই, বলে দাবি জানালেন তিনি।
ডালখোলা থেকে কালিয়াগঞ্জে পৌরসভার ভোটের প্রচার করতে যাওয়ার পথে এদিন মহঃ সেলিম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানেই তিনি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘কিভাবে মৃত্যু হল এই আনিস খানের, সে নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। CID বা CBI নয়, একেবারে বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। নইলে এই রকম মৃত্যুর মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেওয়া হবে।’
প্রাক্তন সাংসদ বলেন, অনীশ খানের মৃত্যুকে ছেড়ে দেওয়া যায় না। ইতিমধ্যেই দিপ্সীতার মত SFI নেতৃত্ব হাওড়ার আমতায় মৃত আনিশের বাড়ির লোকের সাথে কথা বলেছে। স্থানীয় পড়ুয়ারা ওই এলাকার বহু মহিলাদের সাথে কথা বলেছে। সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে কিছু কিছু কথা উঠছে।’ সেলিম জানান, বিগত মে মাস থেকেই এই ছেলেটির ওপর অত্যাচার চলছে, সেই কথা আনিশ বহুবার লোকাল থানা থেকে শুরু করে সর্বত্র জানিয়েছিল।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচানোর জন্য ও কাজ করেছে। এরা চায়, সরকার বিরোধী কোনো কথা বলা যাবে না। এই খুনের বিরুদ্ধে পার্ক সার্কাসে বিচার চাই সভা হচ্ছে, সংখ্যালঘু পড়ুয়ারা মিছিল করছে, এটা কিসের ইঙ্গিত। পুলিশের পোশাকে দুষ্কৃতকারীরা এসেছিল। কে খুন করেছে, এটা পুলিশ বের করবে না? তাই আমরা চাই, এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হোক। অথচ সেই চেষ্টা না করে আজও ধোঁয়াশা তৈরি করা হচ্ছে।
খুনীদের স্কেচ করাচ্ছে না কেন পুলিশ, পুলিশের গাড়ির নম্বর প্লেট কেন খোঁজা হচ্ছে না, তাই তদন্ত করা দরকার। আমতা থানার ডিউটি রোষ্টার, টপ অফিসারদের ক্লোজ এগুলো করা দরকার। এমন হত্যা তো উত্তর প্রদেশে হয়, সেখানে এনকাউন্টার করে মারা হয়। তাই তদন্ত চাই। সিবিআই এ ভরসা নেই। বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই। বুদ্ধিজীবীরা সবাই মুখ খুলুন। আপনাদের সকলের কাছে ছিঃ শব্দটা শুনতে চাইছি।’ এদিন আনিশ বাদে অন্য কোনো প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি মহঃ সেলিম। পাশে ছিলেন উত্তম পাল।
