



#ইসলামপুর: ভোট হোক শান্তিপূর্ণ। সমস্ত ওয়ার্ডেই যাতে শান্তিপূর্ণ ভোট হয় তার জন্য আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি। ইসলামপুর পৌরসভার তিন নাম্বার ওয়ার্ডে ছেলে ইমদাদ আলি যেখানে প্রার্থী সেখানে ভোট দিতে এসে ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী একথা বলেন ।এদিন ওই ছেলের বুথে তিনি প্রথম ভোট প্রদান করলেন। যদিও তিনি ভোট কাকে দিয়েছেন তা বলতে চাননি তিনি।
13 নাম্বার ওয়ার্ডে শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার যে অভিযোগ উঠে এসেছিল সে প্রসঙ্গে তিনি জানান, ভোট নিয়ে বিশৃংখলা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। এতে বিরোধীরা আরো সুযোগ পেয়ে যাবে। শিলিগুড়ি মতন ইসলামপুরেও বইবে সবুজ ঝড়। এই ভোটে সতেরটি ওয়ার্ডে সতেরটিই তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হবে বলে মনে করছেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী।
ভোট পরবের সাত সকালে ভোট দিয়ে জেলার তিনটি পুরসভার ভোটের হাল হকিকতের খবর নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা ইসলামপুর পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়াল। রবিবার সকালে ইসলামপুর হিন্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে তিনি ভোট দেন। এবং ভোট দিতে এসে বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির জেলা সহ সভাপতি সুরজিৎ সেনের সাথেও কথা বলেন তিনি। ইসলামপুরে উৎসবের মেজাজে ভোট হওয়ার কথাই বললেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়াল।
অন্যদিকে ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে বলে শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হলো বিরোধীরা। ইসলামপুর পৌরসভার তেরো নাম্বার ওয়ার্ডে ভোটের সাতসকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র রাজনৈতিক চাঞ্চল্য ছড়ালো।ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া এলাকার ভোটারদের মধ্যেও।এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে চাননি ওই বুথে দায়িত্বরত পুলিশ আধিকারিক।
ইসলামপুর পৌরসভার প্রথম রূপান্তরকামী ভোটার জয়িতা মন্ডল ভোট দিলেন নির্বিঘ্নেই। এদিন সকালে এক নাম্বার ওয়ার্ডের পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে এসে তিনি ভোটদানে অংশ নেন। আগামীর প্রতিনিধি যাতে এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সচেষ্ট হন মূলত সেই বিষয়টি তিনি দাবি হিসেবে তুলে ধরেছেন। উল্লেখ্য, তিনি জেলার প্রথম রূপান্তরকামী ভোটার হিসেবে স্বীকৃতি পান।
আট নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মোজাফফর হোসেন আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। তাই তার ওয়ার্ড এবং বুথ রীতিমতন শুনশান। যেন জনমানবহীন। তবুও এক ফাঁকে বুথের সামনে এসে ঘুরে গেলেন তিনি। মনে মনে ভাবলেন আজকের দিনে যদি তাকে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে হতো তাহলে এই এলাকা রীতিমতন জমজমাট হয়ে উঠত ।কিন্তু আজ সেই ছবি নেই। তাই তিনি অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে তাদের মনোবল বাড়াচ্ছেন।
ভোটের দিন সকাল থেকেই তেমনভাবে কোন বুথেই অন্যান্য বারের মতন উপচে পড়েনি ভিড়। শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটাররা ভোট দান পর্বে অংশ নিয়েছেন। তেমনভাবে খুব একটা ভিড় কোথাও নজরে পড়েনি। বিক্ষিপ্তভাবে চলছিল ভোটদান পর্ব। বর্ষিয়ান কিংবা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ভোটাররাও বাড়িতে বসে থাকেননি। কষ্ট হলেও পরিবারের সদস্যদের সাথে তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দান প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন।
