



#ইসলামপুর: যে আসনটি ছিল পাখির চোখ ইসলামপুর পৌরসভায় আর যে পনেরো নাম্বার ওয়ার্ড নিয়ে ছিল প্রচুর মানুষের কৌতূহল। সে ওয়ার্ডের ফলাফল ঘোষণা হতেই কিন্তু মানুষের হর্ষ ধ্বনি আর উল্লাসে ফেটে পড়লো গণনা কেন্দ্র।নির্বাচনের দিন ছাপ্পা ভোটকে কেন্দ্র করে নানান রকম ভাবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
আসলে সাধারণ মানুষের বিপুল সমর্থন যে মানিক দত্তের দিকেই ছিল তার উদাহরণ তিনিই। তাই ছাপ্পা ভোটও কিন্তু তার জয়কে রুখে দিতে পারেনি।এমনটাই বলছেন সাধারণ মানুষ। ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রাণগোপাল সাহারায়কে তাই নির্দল প্রার্থীর বিপরীতে থেকে পরাজয়কেই গ্রহণ করে নিতে হয়েছে।
অনেক ভোটের ব্যবধানে ওই আসন থেকে জয়ী হলেন সদ্য তৃণমূল থেকে বহিস্কৃত নির্দল প্রার্থী তথা প্রাক্তন পৌর প্রশাসক মানিক দত্ত। মানিক দত্ত জানিয়েছেন, এই প্রথম অন্য ওয়ার্ড থেকে লড়াই করে তিনি জিতেছেন। যেটি অবশ্যই মানবিকতার জয়। সেখানকার মানুষ তাকে চেয়েছেন বলেই ছাপ্পা ভোট হওয়া সত্বেও তাকে রুখতে পারেনি কেউ।
শুধু তিনি নন তার স্ত্রী অর্পিতা দত্ত কম ভোটের ব্যবধানে হলেও পনেরো নাম্বার ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন। অর্থাৎ ইসলামপুরে একটিমাত্র পরিবার যে পরিবারে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই পৌর নির্বাচনের কাউন্সিলর হলেন। এই জয়ে তারা অত্যন্ত খুশি এবং মানুষের উন্নয়নের জন্যই এই দুটি ওয়ার্ডে কাজ হবে ধারাবাহিকভাবে। এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।
হেভিওয়েট প্রার্থীদের প্রেস্টিজিয়াস ফাইটের দুটি ওয়ার্ডকে ধরে রাখতে পারলেন না তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। ইসলামপুর পৌরসভা দশ নাম্বার ওয়ার্ডের প্রার্থী হয়েছিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল এর স্ত্রী শকুন্তলা আগারওয়াল। কিছু ভোটের ব্যবধানে সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ ফিরোজ এর কাছে পরাজিত হন তিনি।
অন্যদিকে তিন নাম্বার ওয়ার্ডের প্রার্থী হয়েছিলেন ইসলামপুর বিধানসভার বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর পুত্র ইমদাদ চৌধুরী। সেখানেও তিনি নির্দল প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। এই দুটি পরাজয় কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না তৃণমূলের শিবিরের দুই নেতৃত্ব। এমনকি শেষ পর্যন্ত নির্দল ও সিপিএম প্রার্থীর কাছে পরাজয় স্বীকার করতে হবে তাও যেন মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে দুই শিবিরের। তবে কি কারণে এমনটা হলো তা কিন্তু গুরুত্বসহকারে পর্যালোচনার কথাই জানিয়েছেন নেতৃত্বরা।
