



#ইসলামপুর: আলেমা কিংবা মজিবনদের মতো দুঃস্থ ও অসহায় বিধবা তথা বর্ষীয়ান নারীরা বিধবা ভাতা থেকে বঞ্চিত। এদের নেই বয়স্ক ভাতাও। এদের মতো আরও অনেকেই আছে যারা নিরক্ষর। অনেক দৌড় ঝাঁপ করে পঞ্চায়েতে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র জমা দিলেও বিধবা ভাতা মেলেনি আদৌ। মেলেনি কোনও আশ্বাস।
ফলে বৃদ্ধ বয়সে বেঁচে থাকার অদম্য লড়াইয়ের মিছিলে সামিল হয়ে তাদের অনেককেই বিকল্প শ্রমের কাজ বেছে নিতে হচ্ছে। ওই মহিলাদের শুধুমাত্র যে বিধবা ভাতা তা-ও নয়; কেউ পাননি বার্ধক্য ভাতা আবার কেউ পাননি সিনিয়র সিটিজেনদের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধাও।
আবেদন করার পেরিয়ে গেছে দীর্ঘ কয়েক বছর। কেন তাদের বিধবা ভাতা সহ অন্যান্য ভাতা হলোনা তার কারণ তাদের জানা নেই। অথচ ভাতার টাকাটুকু পেলে তাদের অভাবের সংসারে প্রতিদিন একটু নুন পান্তা জুটতো নিয়মিত। ইসলামপুর ব্লকের মাটিকুন্ডা এক গ্রাম পঞ্চায়েতের পোখরপাড়া এলাকায় ওই বিধবা মহিলাদের ঠিকানা।
সংশ্লিষ্ট গ্রামের পাশাপাশি তারা বাড়ি, ডাঙ্গাপাড়া ও পকলাবাড়ি সহ বিভিন্ন গ্রামের হাজারো মহিলা রয়েছে যাদের কোন ভাতা আজও জোটেনি। এ বিষয়ে সমস্যা সমাধানে যদি প্রশাসনিক ভাবে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হতো তবে হয়তো ওই দুঃস্থ বৃদ্ধা কিংবা বিধবারা একটু আশার আলো খুঁজে পেতেন।
অথবা কার বিধবা ভাতা কেন হলোনা সেই কারণ জানতে পারলে তারা পরবর্তী সময়ে উদ্যোগী হতে পারতেন।যাদের নিয়ে গোটা বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে নারী দিবস সেই নারীরাই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কিন্তু কেন? প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে।
এবিষয়ে পঞ্চায়েতের প্রধান মেহেবুব আলম জানান দীর্ঘ আট বছর কিংবা তারও বেশি সময় ধরে বিধবা এবং বৃদ্ধ ভাতা সহ একাধিক ভাতা বন্ধ হয়ে রয়েছে। ফলে এলাকার হাজারের বেশি মানুষজন এই প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো সবুজসংকেত মেলেনি।
