



#রায়গঞ্জঃ করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশজুড়ে ট্রেন বন্ধ রেখেছিল কেন্দ্র সরকার। রাজ্য সরকারের সুপারিশ ক্রমে ধীরে ধীরে চালু হয়েছে এক্সপ্রেস, মেল ও লোকাল ট্রেন। এরকম পরিস্থিতিতে জেলার প্যাসেঞ্জার ট্রেন গুলোতে করোনা কালের যাত্রী ভাড়া এখনও একই রয়ে গেছে।
৩ গুণ বর্ধিত ভাড়া আজও হ্রাস না পাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রী, ব্যবসায়ী থেকে আমজনতা। রেলযাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, রাধিকাপুর থেকে কাটিহারের প্যাসেঞ্জার ট্রেনে উঠলেই গুণতে হচ্ছে তিন গুণ ভাড়া। ফলে সাধারণ মানুষেরা ট্রেন ছেড়ে সড়ক পথেই যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন।
যাত্রীরা জানান, প্রাক্ করোনা সময়ে রায়গঞ্জ থেকে কালিয়াগঞ্জ যেতে ভাড়া ছিল ১০ টাকা। এখন গুণতে হচ্ছে ৩০ টাকা। তাদের দাবি, কালিয়াগঞ্জ থেকে রায়গঞ্জ বা রায়গঞ্জ থেকে বারসই পর্যন্ত ট্রেনের ভাড়া তিন গুণ বেড়েছে। উল্লেখ্য, কোভিড আবহে ট্রেনে ভিড় কম রাখতে রেল দপ্তর চালু করে স্পেশাল ট্রেন ও স্পেশাল ভাড়া।
কিন্তু বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এখনও প্যাসেঞ্জার ট্রেনে নেওয়া হচ্ছে করোনা চলাকালীন বছরের স্পেশাল ভাড়া। এতেই বিপাকে পড়েছেন দৈনিক সাধারন যাত্রীরা। যদিও রেল সূত্রে খবর, রাধিকাপুর থেকে কাটিহারের ভোরবেলার ও রাতের বেলার ট্রেনের টিকিটের ভাড়া বৃদ্ধি হয়নি।
রায়গঞ্জ থেকে কালিয়াগঞ্জ বা বারসইয়ের ভাড়া ১০ টাকাই আছে। পাশাপাশি, রাধিকাপুর -শিলিগুড়ি ডেমু ট্রেনের ভাড়া অপরিবর্তিত আছে। রায়গঞ্জ কালিয়াগঞ্জের নিত্যযাত্রী রমনী দাস বলেন, রায়গঞ্জ থেকে কালিয়াগঞ্জের ট্রেন ভাড়া আগে ১০ টাকা ছিল, এখন তা এক লাফে বেড়ে হয়েছে ৩০ টাকা।
ঠিক তেমনই, রায়গঞ্জ থেকে বাঙ্গালবাড়ি বা বামুনগ্রাম এবং বারসই পর্যন্ত ভাড়া বেড়ে হয়েছে ৩০ টাকা। যার জেরে চরম সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। সোনালীর এক বাসিন্দা সোমা সাহা জানান, কোভিড পরবর্তী নিউ নর্মালে এখনও তিন গুন বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছেন।
এবিষয়ে রেল দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, কোভিড আবহে ট্রেনে ভিড় কমানোর জন্য প্যাসেঞ্জার ট্রেন সহ সব ট্রেনে স্পেশাল ভাড়া চালু হয়েছিল। সাধারণ মানুষের দাবি মেনে, আবার কবে পুরনো ভাড়া চালু হয়, সেদিকেই তাকিয়ে আমজনতা থেকে নিত্যযাত্রী।
