



#সুশান্ত নন্দী, ইসলামপুর: সকাল হলেই টোটো নিয়ে ছুটে বেড়ান তিনি বিহার বাংলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। দুই রাজ্যের বিভিন্ন শহর ও গ্রাম খদ্দেরদের নিয়ে ছুটে বেড়ান যিনি শিশুরা অনেক সময় তাকে টোটো দাদু বলেও সম্বোধন করে। যার কথা বলা হচ্ছে তিনি রামপ্রসাদ সিং।
বয়স প্রায় পঁচাত্তর এর কাছাকাছি। বিহারের কিষানগঞ্জ জেলার পুঠিয়া থানার নয়া হাট এলাকায় বাড়ি। এক সময় নাতনিকে দূরের স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিনি টোটো কিনেছিলেন। এরপর করোনার সংকটে বন্ধ হয়ে যায় দীর্ঘ দুই বছর স্কুল।
কিন্তু তিনি বাড়িতে বসে না থেকে পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ফেরাতে খদ্দের বহন করতে থাকেন টোটোতে। এখন তা নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন সকালে এই বৃদ্ধ বয়সে হলেও দুটো পয়সা রোজগারের আশায় রোদ-বৃষ্টিতে দুই রাজ্যের যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি।
এই বিষয়টি দেখে অন্যান্য চালকদের বক্তব্য, যখন অবসর গ্রহণের সময় হয়েছে তখন তিনি আরাম না করে সব সময় কর্ম ব্যস্ত থাকছেন। এতে একদিকে যেমন অতিরিক্ত আয়ের সংস্থান হচ্ছে সংসারের জন্য তেমনি অন্যদিকে কাজের মধ্যে ডুবে থাকার জন্য টেনশনহীন জীবনযাপন করতে পারছেন।
এত কষ্টের পরও এক গাল হাসি হেসে তিনি জানিয়ে গেলেন, এই বেশ ভাল আছি। এভাবেও খুব সুন্দরভাবে বেঁচে থাকা যায়। বাকি কথা পরে হবে। বয়সটা যে কোনো ফ্যাক্টর নয়, নিজের উদ্যম শক্তিটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ; তা বুঝি এই বয়সে প্রমাণ করে দিলেন ওই বৃদ্ধ টোটো চালক।
