



#মালবাজারঃ গাছ ভর্তি আমের মুকুল আর সেই সাথে প্রখর সূর্যের তাপ ফাল্গুনের শেষে কি ঝড় – জলের পূর্বাভাস দিচ্ছে? কৃষক থেকে আবহাওয়াবিদ সবার অনুমান এবার ঝড় – জলের আধিক্য বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ফাল্গুন মাস শেষ হতে চলল কিন্তু, কোথায় সেই মৃদুমন্দ দক্ষিনা বাতাস।
সেই জায়গায় চলছে প্রখর সুর্য্যের তাপ।দিনেরবেলা তাপমাত্রার পারদ পৌঁছে যাচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ ডিগ্রি। বাতাসে আদ্রতা প্রায় নেই বললেই চলে। কোথাও কুয়োর জল তলানিতে আবার কোথাও কুয়ো শুখিয়ে গেছে। আমাদের প্রাচীন প্রবাদে রয়েছে যেবার আমের মুকুলের আধিক্য থাকে সেবার বৃষ্টি ও ঝড়ের সম্ভাবনা থাকে।
এবার ফাল্গুনের এই প্রখর তাপের সাথে দেখা যাচ্ছে আমের গাছ ভর্তি ফুটে রয়েছে মুকুল। মৌমাছি ও প্রজাপতির দলে হানা দিচ্ছে আম গাছে। সন্ধ্যা হতেই দেখা যাচ্ছে আলোর স্তম্ভকে ঘিরে উড়ে বেরাচ্ছে উই পোকার দল।
এইরকম পরিবেশ দেখে ক্রান্তি এলাকার এক কৃষক জানালেন, আমাদের দেশে চৈত্র – বৈশাখে ঝড় – জল হয়। এবার ফাল্গুনই তাপ দেখেই বোঝা যাচ্ছে কিছুদিনের মধ্যেই বৃষ্টি হবে। সেই সাথে ঝড় হতে পারে। আবহাওয়া দপ্তরের সুত্রে জানাগেছে, দোলের আশপাশেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
গ্রামীণ এলাকার প্রবীণদের মতে, আমের মুকুলের আধিক্য থাকায় এবার বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। ডুয়ার্সের চা বাগান গুলিতে সবুজ কচি পাতায় ভরে এসেছে। মাঘী বৃষ্টির পর আর বৃষ্টি হয়নি। প্রতিটি চা বাগানে দেখা যাচ্ছে সেচ দিতে। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার শুরু হয়েছে পোকা মাকড়ের উপদ্রব।
বেশ কয়েকজন চাবাগান সঞ্চালক জানিয়েছেন, নিয়মিত সেচ দিতে খরচ বাড়ছে। পাশাপাশি পোকামাকড় ঠেকাতে স্প্রে করতে হচ্ছে কীটনাশক। এতেও খরচ বাড়ছে। এখন একটা ভারী বৃষ্টির দরকার। তবে পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে কিছুদিনের মধ্যেই বৃষ্টি হবে।
