



#মালবাজারঃ শনিবার ছিলো করম পুজো। সমগ্র ডুয়ার্স জুড়েই এইদিন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন নিষ্ঠার সাথে তাদের অন্যতম বড় উৎসব আড়ম্বরের সাথে পালন করেছেন। ডুয়ার্স অঞ্চলের এলেনবাড়ি চাবাগান থেকে শুরু করে সংকোশ পর্যন্ত সমস্ত চাবাগানেই করম পূজোর উৎসব পালিত হয়েছে। বাসিন্দারা করম রাজার কাছে শস্যশ্যামলা ও সমৃদ্ধ কামনা করার পাশাপাশি বর্তমান সময়ে ঘটে চলা করোনা রোগ থেকে মুক্তির প্রার্থনা করেছেন। বিভিন্ন স্থানে করম গাছের ডাল কেটে এনে বেদীতে পুতে পুজা করা হয়।
ডুয়ার্স অঞ্চলের মালবাজার, চালসা, মেটেলি, নাগরাকাটা, বাগরাকোট, ওদলাবাড়ি, বানারহাট, বিন্নাগুড়ি প্রায় সব জায়গাতেই বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে এই অনুষ্ঠান নিষ্ঠা সহকারে পালিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে পুজা শুরু হয়। এ প্রসঙ্গে ডুয়ার্সের মানাবাড়ি চাবাগানের অনুজ টোপ্পো বলেন আজ আমরা এলাকায় “বীর শহিদ সিধু কানু বিরসা জাগৃতি মঞ্চ” পক্ষ হতে সমবেত ভাবে সকলে মিলে পুজো করেছি। তবে বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অনুষ্ঠানে সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা হয়েছিল সাথে বিসর্জন অনুষ্ঠানে লোক জমায়েত যাতে বেশি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।
নিয়ম নিষ্ঠার সাথে পুজো হয়েছে এদিন। পুজো উপলক্ষে এলাকার মানুষজন সমবেত হয়েছেন বলে তিনি জানান। অপরদিকে বামন ডাঙ্গা, ভগৎপুর চাবাগানে ধুমধাম করে করম পূজোর অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে। নাগরাকাটার জিতি চাবাগানে এবছর করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় সেখানে অনুষ্ঠান হয় নি। করম পুজো উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের পুরোনো রীতি মেনে ধামসা মাদল নিয়ে আদিবাসী গানের তালে নৃত্য পরিবেষ্টিত হয়। তবে সামগ্রিক ভাবেই করোনা পরিস্থিতির আবহে পুজোতে এবার অনেকটাই জৌলুস ছিলো কম।
এ প্রসঙ্গে কিলকোট চা বাগানের যুবক কিরণ লোহার বলেন নিষ্ঠার সাথে পুজো হয়েছে এলাকায় কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সামাজিক দূরত্ববিধি সব কিছুরই আয়োজন করা হয়েছে তবে বিসর্জনের অনুষ্ঠান করা হবে না বলে তিনি জানান। এই প্রসঙ্গে অখিল ভারতীয় আদিবাসী বিকাশ পরিষদের রাজ্য কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি তেজকুমার টোপ্পো বলেন “বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারনে বড় জমায়েত এড়ানোর জন্য রবিবারের বিসর্জনের অনুষ্ঠান কাটছাট করা হয়েছে”।
