



মালবাজার: বিজেপির ঝান্ডা ও ব্যানার লাগিয়ে জমি দখল করাকে কেন্দ্র করে মালবাজার শহরে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চাঞ্চল্য ছড়াল। মাল শহরের রেলের অধীনস্ত রেলের জমি লিজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবসা চালিয়ে আসছেন বছর চল্লিশের যুবক কৌশিক দত্ত। আজ সকালে তিনি তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখেন তার প্রতিষ্ঠানের পেছনের ফাঁকা জমিতে রাজনৈতিক দলের ব্যানার ও পতাকা লাগানো। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ঘড়ি মোড় সংলগ্ন এলাকায়। এ প্রসঙ্গে কৌশিক বাবু বলেন, রাতের অন্ধকারে বিজেপির প্রাক্তন মাল টাউন মন্ডল সভাপতি পঙ্কজ তেওয়ারি ফাঁকা জমিটি দখল করে নেবার জন্য ঝাঁপিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন তাকে ফোন করে দেখে নেবার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন তার দাদু স্বর্গীয় যুগল দত্ত এই জমি রেলের থেকে লিজ নিয়ে ব্যবসা করেছেন সেই জায়গায়ই তিনি তার কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার করে কাজ কর্ম অতিবাহিত করে চলেছেন। এই মর্মে মালবাজার থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ প্রসঙ্গে পঙ্কজ বাবুকে প্রশ্ন করা হলে অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও শাসক দলের চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন ওই ফাঁকা জমিতে গত ২০১৪ সাল থেকে নির্বাচনের সময় বুথ অফিস করে নির্বাচনী কার্যকলাপ চলে আসছে ওখানে। ওই জমি ওনার নয়। ওটা রেলের জায়গা। ওনাকে কোনোরূপ হুমকি দেয়াও হয়নি।
তিনিও থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে মাল টাউন বিজেপি মন্ডল সভাপতি দেবাশীষ পালকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে তিনি শুনেছেন। প্রসঙ্গ বিষয়ে তিনি বলেছেন ওটা পার্টির কোনো বিষয় নয়। দলের একমাত্র অফিস রয়েছে গুরজংঝোড়া মোরে। নতুন অফিস করতে দলের অনুমোদন লাগে। পঙ্কজ বাবু ব্যক্তিগত ভাবে এই কাজের সাথে যুক্ত রয়েছেন। এর সাথে পার্টির কোনো সম্পর্ক নেই। এনিয়ে রেলের পক্ষ থেকে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত রেলের এ ই এন জানান, আমার এবিষয়ে কিছু বলার এক্তিয়ার নেই।
এসব শুনে মাল টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম সম্পাদক অমিত দে বলেন, ভাবতে অবাক লাগে ওরা এখনো ক্ষমতায় আসেনি তাতেই ঝান্ডা লাগিয়ে জমি দখল শুরু করেছে। ক্ষমতা এলে সব দখল করবে। এটাই এদের ক্যালচার। এসব অন্যায়। স্থানীয় যুবক সুরজিৎ দেবনাথ বলেন, পঙ্কজ বাবুর গা জোয়ারিতে বিরক্ত এখানকার মানুষ। এনিয়ে মাল থানার ওসি শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, এরকম একটা অভিযোগ থানায় জমা পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
