



#দেবলীনা ব্যানার্জী, রায়গঞ্জ: উত্তর দিনাজপুর জেলা থেকে এবছর শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কার পাচ্ছেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরিজি বিভাগের অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান ড: পিনাকী রায়। এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এর দায়িত্বে রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ এর ডিরেক্টর পদও সামলান তিনি। আদতে বালুরঘাটের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে তিনি রায়গঞ্জের বাসিন্দা। বালুরঘাট আত্রেয়ী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ছাত্র পিনাকীবাবু শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরিজি বিভাগের অধ্যাপক ড: সৌম্যজিত সামন্তর তত্ত্বাবধানে ২৬ বছর বয়সে পি. এইচ. ডি. ডিগ্রী অর্জন করেন।
কলেজ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে ইংরিজিতে প্রথম স্থান অর্জন করে মালদা কলেজে ইংরিজির সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ছয় বছর পরে তিনি কোচবিহার পঞ্চানন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। সেখানে অধ্যাপনার পাশাপাশি পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক হিসাবেও দায়িত্ব সামলেছেন। এরপর ২০১৬-এর শেষের দিকে তিনি রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি. লিট. গবেষণা সম্পন্ন করার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। মূলত: যুদ্ধ সাহিত্য এবং গোয়েন্দা সাহিত্য নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁর বহু গবেষণাপত্র দেশ-বিদেশের নানান জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের বিভিন্ন আলোচনাচক্রে তিনি যোগদান করেছেন এবং বক্তব্য রেখেছেন। যার মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং ইংল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়। অধ্যাপক পিনাকী রায় জার্মানীর হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণার কাজ করেছেন। তিনি লিখেছেন ও সম্পাদনা করেছেন একাধিক গবেষণামূলক গ্রন্থ।
তাঁর এই শিক্ষারত্ন পুরস্কারের সুখবরে অভিনন্দন জানিয়েছেন, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক শ্রী অনিল ভুঁইমালী, মাননীয় নিবন্ধক (রেজিষ্ট্রার) শ্রী দুর্লভ সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সম্মানীয় অধিকারিকগন। পিনাকীবাবু নিজের প্রতিক্রিয়া হিসেবে জানালেন, ‘কালই উপাচার্যের কাছ থেকে সর্বপ্রথম খবরটা পেলাম। সত্যিই খুব ভালো লাগছে। শিক্ষাদপ্তর থেকে বেশ কয়েকবার ফোনে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল আমার কাজের সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানার জন্য। তবে এবছর যা পরিস্থিতি, তাতে পুরো অনুষ্ঠান অনলাইনে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি মনে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নেওয়া হয়ত হয়ে উঠবে না।’
