



#রায়গঞ্জ: শুক্রবার গান্ধী জন্মজয়ন্তীর দিন বেলা এগারোটায় রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রায়গঞ্জ লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সীর মূর্তি উন্মোচিত হল। রায়গঞ্জ পুরসভার পুরপতি, উপ-পুরপতি, কাউন্সিলরগণ ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে শহরবাসীর প্রিয় জননেতার ধুতি পাঞ্জাবি পরিহিত পূর্ণাবয়ব ব্রোঞ্জ মূর্তিটির উদ্বোধন করলেন প্রাক্তন বিধায়ক চিত্তরঞ্জন রায়। ২০১৭সালের ২০ নভেম্বর দিল্লিতে প্রয়াত হন প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি।যদিও ওনার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতেই মূর্তি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রায়গঞ্জ পুরসভা। দুবছর কেটে যাওয়ার পর অবশেষে রায়গঞ্জ পেল তাদের প্রিয় নেতার পূর্ণাবয়ব মূর্তি।
পুরসভার পুরপিতা সন্দীপ বিশ্বাস জানান, “১৯৯৯ ও ২০০৪ সালে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হন প্রিয়বাবু। রাজনৈতিক জীবনে কেন্দ্রে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন ইন্দিরা গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীর এই আস্থাভাজন। ফুটবলপাগল মানুষ ছিলেন, দীর্ঘদিন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন। মৃত্যুর আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন কোমায় ছিলেন তিনি। রায়গঞ্জের উন্নতিকল্পে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। “
তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রায়গঞ্জ পুরসভার পক্ষ থেকে জনদরদী এই কংগ্রেস নেতার মূর্তি উন্মোচনের অনুষ্ঠানে এদিন কংগ্রেস বিধায়ক সহ কোনো কংগ্রেস নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ না জানানোয় বিতর্ক দেখা দেয়।
এই পরিপ্রেক্ষিতে বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত বলেন,” তৃণমূল এখন প্রিয়দাকে সামনে রেখে ভোট পেতে চাইছে। প্রিয় কংগ্রেস নেতার মূর্তি উন্মোচনে কংগ্রেসের কেউ আমন্ত্রণ পেলেন না। দুষ্কৃতিদের মদত দাতা তৃণমূল নেতাদের হাত দিয়ে এই জননেতার মূর্তি উন্মোচন হলো এটা লজ্জার। এটা প্রিয়দার প্রতি অসম্মান দেখানো হয়েছে। “
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা পুরসভার উপ পুরপতি অরিন্দম সরকার বলেন,” একসময় মোহিতবাবুরাই প্রিয়দাকে কালো পতাকা দেখিয়েছিলো, তা রায়গঞ্জের মানুষ ভুলে যায় নি। যে সিপিএমকে প্রিয়দা সারাজীবন শত্রু মেনেছেন, তাদের সাথেই অনৈতিক জোট এখন কংগ্রেসের। সেই কারনেই কংগ্রেস নেতৃত্বকে আমন্ত্রন জানানো হয় নি।”
