



#দেবলীনা ব্যানার্জী: ১৯৯২ সালে মুম্বাইয়ে স্টক এক্সচেঞ্জ কেলেঙ্কারির বেতাজ বাদশা হর্ষদ মেহতার ডান হাত কেতন পারেখ কলকাতার বুকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। সময়কাল ২০০৮ এর তিলোত্তমা। দুঁদে অফিসার চিরঞ্জিত খোঁজ চালাচ্ছেন এই আর্থিক কেলেঙ্কারির মূল পান্ডাদের ধরার জন্য।
এমনই গল্প নিয়ে বড়পর্দায় আসছে পরিচালক সত্যজিত দাসের পরবর্তী বাংলা ছবি ‘মানি মাফিয়া’। বাংলা ছাড়াও হিন্দি, তামিল, তেলুগুসহ মোট চারটি ভাষায় সর্বভারতীয় স্তরে মুক্তি পেতে চলেছে ছবিটি।রিফ্লিক্স এন্টারটেনমেন্টের ব্যানারে ‘মানি মাফিয়া’ ছবিতে কেতন পারেখের চরিত্রে দেখা যাবে সুরজিত মানাকে।
অন্যদিকে হর্ষদ মেহতার চরিত্রে জয় সেনগুপ্ত, কেতন পারেখের বিরোধী মাফিয়ার চরিত্রে দেবপ্রসাদ হালদার এবং সিবিআই অফিসারের চরিত্রে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী অভিনয় করেছেন। আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে ‘স্ক্যাম ১৯৯২’, ‘দ্য বিগ বুল’ এর মত ছবি বলিউডে প্রশংসিত হয়েছে। টলিউডে এ পর্যন্ত এই বিষয় নিয়ে তেমন কোনো ছবি হয়নি।
সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে ‘মানি মাফিয়া’ বাংলা ছবির ঘরানায় নতুন উদ্যোগ। ‘দ্য বিগ বুল’ এর মত ছবি থেকেই এই বিষয় নিয়ে ছবি বানানোর চিন্তা মাথায় আসে একথা স্বীকার করে নিয়েই পরিচালক সত্যজিত দাস বলেন, “হর্ষদ মেহতার স্ক্যাম ১৯৯২ এর মত শেয়ার মার্কেট ঘিরে টানটান উত্তেজনার গল্প বলতে চাইছিলাম।
সেই নিয়ে রিসার্চ করতে গিয়েই দেখি কলকাতার বুকে ২০০৮ সালে ১২০ কোটির আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ছিলেন হর্ষদ মেহতার ঘনিষ্ঠ কেতন পারেখ নামে এক ব্যক্তি। তিনি ওই সময় কলকাতায় রাজত্ব করেছেন। তখনই মনে হল এই বিষয় নিয়ে ছবি করা যায়। তবে এই ছবিটি কেতন পারেখের জীবনী নয়, ওই ঘটনাকে নিয়ে তৈরি মৌলিক একটি গল্প। আশা করছি ‘মানি মাফিয়া’ বাংলা ছবির দর্শককে অন্য স্বাদের আস্বাদ দেবে।”
