



#ইসলামপুর: করোনা, আমফান এর সঙ্গে লড়াই করে যে সরকার গোয়ালপোখরের মত এলাকায় চুয়াত্তরটি ক্লাবকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে পারে তাহলে গোটা রাজ্যে এর হিসেব কত এটা ভেবে দেখুন। এটা আমাদের সংস্কৃতি। একে এগিয়ে নিয়ে যেতেই এই উদ্যোগ। রবিবার গোয়ালপোখর ব্লকের সভা ঘরে পুলিশ ও প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত চেক বিতরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগের ভুয়সী করে এমনই বলেন রাজ্যের শ্রমদপ্তর এর প্রতিমন্ত্রী তথা গোয়ালপোখর এর বিধায়ক গোলাম রাব্বানী।
তিনি বলেন, পুজোকে কেন্দ্র করে যেন কোথাও কোনও বিভ্রান্তি না হয়। যারা করবে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে। কোন সমস্যা হলে ফোন করবেন।প্রধানরা সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে লক্ষ রাখবেন এবং পুজো কমিটি গুলিকে সহযোগিতা করবেন।মার আশীর্বাদ নিয়ে পুজো করবেন। গোয়ালপোখর থানার ওসি বিশ্বনাথ মিত্র বলেন, মোট উনসত্তর টি পূজা কমিটিকে এদিন চেক প্রদান করা হলো।
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোয়ালপোখর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সাব্বির এহেসান, জয়েন্ট বিডিও পায়েল সরকার, উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের কর্মাধক্ষ গোলাম রসূল প্রমূখ। এদিন আদিবাসীদের সমবেত নৃত্য সহ একটি সাংস্কৃতিক পর্ব সংযুক্ত ছিল ওই কর্মসূচিতে।
অন্যদিকে এদিন ইসলামপুর সূর্যসেন মঞ্চে বিভিন্ন পূজা কমিটিগুলোর মধ্যে চেক বিতরণ কর্মসূচিতে একই মঞ্চে দেখা গেল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী এবং ইসলামপুর পৌরসভার প্রশাসক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল কে। একই দলের হলেও ভিন্ন মনোভাবের জন্য তাদেরকে খুব একটা দেখা যায় না এক সাথে। পুজো মিলিয়ে দিল এই দুই নেতাকে একই মঞ্চে।
এমনই ধারণা পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের। রবিবার ইসলামপুর সূর্যসেন মঞ্চে ইসলামপুর ব্লকের একশ দশটি পূজা কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয় পঞ্চাশ হাজার টাকা মূল্যের চেক। আব্দুল করিম চৌধুরী জানান, লকডাউনে যে সংকটের অবস্থা তৈরি হয়েছে তাতে পূজা কমিটি গুলিকে এই সাহায্য সত্যিই প্রয়োজন ছিল। পুজোর মধ্যে করোনা সম্পর্কে প্রত্যেকটি পূজা কমিটি যাতে সচেতন হন সে বিষয়েও তিনি বার্তা দেন।
আদর্শ সংঘ নামে একটি পুজো কমিটির কর্মকর্তা শুভাশিস সাহা বলেন, এই সংকটের মুহূর্তে সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা পেয়ে তাদের মতন প্রত্যেকটি পুজো কমিটি উপকৃত। এদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার শচীন মাক্কার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক চন্দ্র মন্ডল, ইসলামপুর থানার আইসি শমীক চ্যাটার্জী, সমাজকর্মী গঙ্গেস দে সরকার প্রমুখ।
