



#কৌশিক চট্টোপাধ্যায়: ল্যাপটপের স্ক্রিনে জমাট চাপ, মাউসের কার্সারের বিরামহীন যত্রতত্র বিচরণ, কফির কাপে ঘনঘন অস্থিরতার চুমুক। করোনা পরিস্থিতির জেরে সরকারি বেসরকারি কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম কালচারেও জমাট বাঁধছে একরাশ একঘেয়েমি। তার চেয়ে বরং ল্যাপটপ বা স্মার্ট ফোনের থেকে সাময়িক চোখ সরিয়ে ঘরের জানলাটা খুললেই যদি চোখের সামনে ভেসে ওঠে ধ্যানগম্ভীর হিমালয়, জানালার ফাঁক দিয়ে হিমেল বাতাস যদি ছুঁয়ে যায় আপনার কর্মব্যাস্ত হৃদয়টাকে, তখন পাহাড়ি পাখির ডাকে একঝটকায় নামতে থাকবে বিষন্নতার পারদ।

আঁকাবাঁকা এবড়োখেবড়ো পথ আপনাকে ডেকে নিয়ে যাবে কোন এক নাম না জানা পাহাড়ি ঝর্ণার দেশে। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের হাজারো ঘরবন্দী মানুষের “ওয়ার্ক ফ্রম হোম” কালচারের একঘেয়েমি কাটাতে এবার বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে এলো উত্তরাখন্ড ট্যুরিজম। পরিকল্পনার নাম “ওয়ার্ক ফ্রম হোম স্টে” উত্তরাখণ্ডের জিমকরবেট, মুসৌরি, ল্যান্সডাউন, দেরাদুন, কৌশানি, নৈনিতাল, আলমোড়ার মতো বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্রগুলির হোম স্টে গুলিকে সাজানো হয়েছে পরিকল্পনা মাফিক।
এমন মনোরম পরিবেশের মধ্যেই যাতে আপনি অফিসের যাবতীয় কাজকর্ম সারতে পারেন সে কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে বিশেষ প্যাকেজ। উত্তরাখণ্ড ট্যুরিজম পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত সমস্ত হোমস্টে গুলিতে থাকা খাওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি থাকছে হাই স্পিড ইন্টারনেটের ব্যবস্থা।
যাতে হোম স্টের আতিথেয়তার সাথে অফিসের কাজে কোন রকম ব্যাঘাত না ঘটে। ১ সপ্তাহ থেকে ২৪ দিনের প্যাকেজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই মুহুর্তে প্যাকেজের ওপর দেওয়া হচ্ছে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড়। তাহলে আর দেরি কেন? উত্তরাখণ্ডের ট্যুরিজম ওয়েবসাইট থেকে নিয়ে নিন যাবতীয় তথ্য আর মগজের যানজট ছাড়িয়ে ল্যাপটপ, জামাকাপড় নিয়ে পৌঁছে যান হাওয়া বদলের অফিস পাড়ায়৷
