



#ইসলামপুর: ইসলামপুরের অন্যতম সাহিত্য পত্রিকা এক মুঠো রোদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল সদ্যপ্রয়াত কবি বিবেকানন্দ বর্মনের স্মরণসভা৷ “পরিযায়ী” কাব্যগ্রন্থ প্রণেতা বিবেকানন্দ একাধারে ছিলেন কবি, সাহিত্য সংগঠক, সমাজসেবী ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক৷
ইসলামপুর টাউন লাইব্রেরি হলে ভিড়ে ঠাসা এ কর্মসূচিতে অশ্রুসজল নয়নে একে একে শোক জ্ঞাপন করেন ডঃ বিনয়ভূষণ বেরা, ভবেশ চন্দ্র দাস, দ্বিজেন পোদ্দার, ড.বাসুদেব রায়, শেখ মমতাজ, কর্ণদেব রায় প্রমুখ৷ ব্যক্তিগত সম্পর্কের অজানা অনেক বিষয়ে তারা স্মৃতিচারণ করেন৷ কিষণগঞ্জের আশীষ ঘোষ, শিবমন্দিরের সজল কুমার গুহ তাদের বক্তব্যে ওনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন৷
শিক্ষারত্ন মানিক চন্দ্র দাস তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে লেখা স্বরচিত কবিতা পড়ে শোনান৷ আবেগঘন পরিবেশে বক্তব্য রাখেন পম্পা দাস, অপর্ণা দাস মন্ডল, পূর্ণ দাস, মনোজ সিংহ প্রমুখ৷ বাংলা কবিতায় তিনি যে হাইকু এবং তানকা নিয়ে কাজ করছিলেন সে ব্যাপারে আলোকপাত করেন তাঁর মেজো কন্যা তৃণা সান্যাল৷
জামাতা সুশান্ত সান্যাল জানান, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়তেন৷ জেলার দাবি আদায়ে তিনি নিরলসভাবে আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন৷ শেষ দিনগুলোতে কবির সাথে থাকার অভিজ্ঞতা জানান সেজো কন্যা বন্যা বাইন৷ কবিতা ছাড়া পিতা কন্যার মাঝে রাজনৈতিক তুমুল তর্কও হত বলে তিনি জানান৷
আটের দশকে ইসলামপুর থেকে প্রথম মহিলা সম্পাদিত পত্রিকা নারীনক্ষত্রের প্রসারে তাঁর উল্লেখযোগ্য অভিজ্ঞতা শোনান নাট্যশিল্পী উত্তম সরকার৷ ছোটবেলা থেকে বিভিন্নভাবে তাঁর সংস্পর্শে আসা সোনালী দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করেন মানসী দাস, স্বপ্না উপাধ্যায়, গীতাঞ্জলি কুন্ডু প্রমুখ৷
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৌন্তেয় নাগ, চন্দন সিংহ, মৃদুলা শিকদার, অনিল সাহা, কাজল দাস, কৌস্তুভ দেসরকার প্রমুখ৷ শোকবার্তা পাঠিয়েছেন পাশারুল আলম, কলকাতার সমীরণ চক্রবর্তী, অঙ্কন রায়চৌধুরী, কোচবিহারের সঞ্জয় সোম প্রমুখ৷
সভাপতি নিশিকান্ত সিনহা প্রায় অর্ধশতকের সম্পর্কের বিভিন্ন অম্ল মধুর দিক উত্থাপন করেন৷ শুরুতে কবির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন ও নীরবতা পালন করা হয়৷ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পত্রিকা সম্পাদক প্রসূন শিকদার৷
