



#রায়গঞ্জঃ সোমবার সাপ্তাহিক কাজ কর্ম শুরুর দিন সকালে সরকারি দপ্তরের আধিকারিকের নির্দেশে জেলা শিক্ষা দপ্তরের অফিসের সামনে অবস্থিত একটি অশ্বত্থ গাছ হত্যা করার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। বিষয়টি জানাজানি হতেই আধিকারিকেরা মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।
বনদপ্তরও জানিয়ে দেয় যে, ওই প্রাচীন গাছটি কাটার জন্য কোনো অনুমতি নেওয়া হয় নি। এর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয় একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মঙ্গলবার দুপুরে রায়গঞ্জের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা একত্রিত হয়ে নীরব প্রতিবাদ জানালো এই বৃক্ষ হত্যার বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, এদিন সকালে উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রশাসনিক সদর কর্ণজোড়ার অফিস চত্বরে একত্রিত হয় উত্তর দিনাজপুর জেলার একমাত্র প্রকৃতি প্রেমী পাহাড়ি ক্লাব হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ার্স এন্ড ট্রেকার্স এসোসিয়েশন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মুক্তির কান্ডারী, পশু ও প্রকৃতি প্রেমী সংস্থা উত্তর দিনাজপুর পিপলস ফর এ্যানিম্যালস সহ জেলার উত্তর দিনাজপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাদের যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা।
মুক্তির কান্ডারীর কর্ণধার কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, এমন একটি প্রাচীন গাছ কেটে আধিকারিকেরা অন্যায় করেছন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। তাই এদিন ওই হত্যা করা গাছটিকে কেন্দ্র করে অরন্য ষষ্ঠী উদযাপন করা হয়েছে। হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ার্স এন্ড ট্রেকার্স এসোসিয়েশনের সম্পাদক অপর্ণা চক্রবর্তী বলেন, আমরা এমন হত্যা কান্ডের তীব্র নিন্দা করছি। তাই গাছের অবশিষ্টাংশের গায়ে সুতো বেঁধে গাছটিকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য বনদপ্তরের কাছে আবেদন করছি।
এদিকে পিপলস ফর এ্যানিম্যালসের জেলা সম্পাদক গৌতম তান্তিয়া বলেন, আগামী কাল আমরা পরিবেশ চিন্তক সাধারণ মানুষের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি দাবিপত্র ডিভিশনাল বন আধিকারিকের কাছে জমা দেব। যেখানে গাছটিকে বাঁচিয়ে তোলার যাবতীয় প্রচেষ্টা বনদপ্তরকে নিতে অনুরোধ করা হবে। পরিবেশ প্রেমীদের এমন নীরব প্রতিবাদে এদিন কর্ণজোড়া চত্বরে অফিসে আসা সরকারি কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ছিল অদৃশ্য সহানুভূতি।
