



#দেবলীনা ব্যানার্জী, রায়গঞ্জ: কলকাতায় মাসে মাসে বিদ্যুতের বিল এলেও রায়গঞ্জ তথা উত্তর দিনাজপুরে তিনমাসের হিসেবে বিদ্যুতের বিল আসে। এর ফলে বিশাল অঙ্কের বিল একেবারে চলে আসায় মাথায় হাত পড়ে উপভোক্তাদের। মাসে মাসে বিদ্যুতের বিল এলে ইউনিট হিসেবে সাশ্রয়ও হয় অনেক। এই দাবিতে ও সারাদিনে বারবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট সহ আরও পাঁচ দফা দাবি নিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরে ডেপুটেশন প্রদান করলো উত্তর দিনাজপুর যুব কংগ্রেস।
ডেপুটেশনের মূল বিষয়গুলি ছিল পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপন্ন হওয়া সত্ত্বেও দিনের মধ্যে বারে বারে বিদ্যুৎ না থাকা, তিন মাসের জায়গায় কলকাতার মতো এই জেলাতেও প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল প্রদানের ব্যবস্থা করা সহ আরও কিছু বিদ্যুৎ সম্বন্ধীয় সমস্যা। বিদ্যুৎ বিভাগের রায়গঞ্জ ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার অনির্বাণ সাহার হাতে ডেপুটেশন পত্রটি তুলে দেওয়া হয়।
তিনি জানান, পুজোর সময় প্রতিবছরই বিদ্যুতের একটি ঘাটতি দেখতে পাওয়া যায়, তবুও তিনি তার দিক থেকে যতটা সম্ভব দাবিগুলি বিবেচনা করবেন। এছাড়া ঝড়বৃষ্টিতে লাইনের ওপর গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ হয়। এর সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। এদিনের ডেপুটেশনে উত্তর দিনাজপুর যুব কংগ্রেসের সভাপতি তুষার গুহ সহ অন্যান্য যুব কংগ্রেসের কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তুষার বাবু জানান, আমরা রায়গঞ্জের মানুষ দীর্ঘদিন থেকে একটা হয়রানির শিকার হচ্ছি, সারাদিনে প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ যাচ্ছে, ঠিক সময়মত বিদ্যুতের বিল জমা দেওয়ার পরেও বারবার লোডশেডিংয়ের শিকার হতে হচ্ছে। রাজ্যের নেতাদের ফলাও করে বলতে শুনি, আমাদের রাজ্যে নাকি এত বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, পাশ্ববর্তী রাজ্যগুলোতে উদবৃত্ত বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে। তাহলে আমরা বারবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হচ্ছি কেনো? পাশাপাশি স্কুল কলেজ সহ সব জায়গাতেই যেখানে মাস হিসেবে বেতন হয়, এমনকি কলকাতায় ইলেকট্রিসিটি বিল মাস হিসেবে আসে, সেখানে আমাদের জেলায় ত্রৈমাসিক বিলের ব্যবস্থা কেনো?
এতে লাগামছাড়া বিদ্যুতের বিলের সম্মুখীন হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এরকমই পাঁচ দফা বিদ্যুৎ সমস্যা প্রতিকার চেয়ে আজকের এই ডেপুটেশন। ডেপুটেশনের দাবি পত্রটি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। উনি আশ্বস্ত করেছেন দাবিগুলো সমাধানের বিষয়ে সচেষ্ট থাকবেন। যদি এরপরও সমস্যাগুলি না মেটে তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেন বলেও জানান তিনি।
