



#রায়গঞ্জঃ বনদপ্তরের অনুমতি না নিয়ে সমগ্র শিক্ষা মিশনের দপ্তরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বিরাটাকার অশ্বত্থ গাছ নিধনের অভিযোগ ওঠে দুদিন আগেই। প্রাচীন এই গাছটি কাটার ফলে ওই এলাকার বাস্তুতন্ত্র সহ পরিবেশ গত ক্ষতি হবে বলে গর্জে ওঠেন শহরের পরিবেশ চিন্তকেরা।
এরপর জেলার প্রশাসনিক সদর কর্ণজোড়ার অফিস চত্বরে একত্রিত হন উত্তর দিনাজপুর জেলার একমাত্র প্রকৃতি প্রেমী পাহাড়ি ক্লাব হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ার্স এন্ড ট্রেকার্স এসোসিয়েশন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মুক্তির কান্ডারী, পশু ও প্রকৃতি প্রেমী সংস্থা উত্তর দিনাজপুর পিপলস ফর এ্যানিম্যালস সহ জেলার উত্তর দিনাজপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাদের যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা।
গতকালই রাখি বেঁধে, অরণ্য ষষ্ঠী উদযাপন করে স্বেচ্ছাসেবকেরা৷ পাশাপাশি, এদিন বুধবার লিখিত ভাবে জানানো হয় রায়গঞ্জ বনবিভাগের আধিকারিককে। সেই ডেপুটেশন জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবকেরা। মুক্তির কান্ডারীর কর্ণধার কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, এমন একটি প্রাচীন গাছ কেটে আধিকারিকেরা অন্যায় করেছন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।
তাই ওই গাছ কাটার শাস্তি স্বরূপ আমাদের পরামর্শ, জেলা সমগ্র শিক্ষা মিশনের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন স্কুলে কমপক্ষে ১ হাজার গাছ বাঁচাতে হবে।এছাড়াও হিমতার সম্পাদক অপর্ণা চক্রবর্তী বলেন, আমাদের দাবি, যে অশ্বত্থ গাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে, সেই গাছটিকে পুনরায় বাঁচিয়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরামর্শ বন আধিকারিক মেনে নিয়েছেন। উনি কথাও দিয়েছেন যে, গাছটিকে পুনরায় বাঁচিয়ে তোলা হবে। এখন দেখার, সমগ্র শিক্ষা মিশনের দপ্তর বিষয়টিকে কিভাবে গ্রহণ করে।
