News Britant

পৌরসভার বেহাল রাস্তা, CPIM এর পোষ্টারে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য

Listen

( খবর টি শোনার জন্য ক্লিক করুন )

#রায়গঞ্জঃ রায়গঞ্জ শহরের রাস্তা, গলি গুলোর পিচের আস্তরণ উঠে গিয়েছে বহু দিন আগেই। এখন শহরের বেশিরভাগ  রাস্তা গুলোই খানাখন্দে ভরা। পৌর নাগরিকেরা এমন রাস্তায় চলাফেরা করছেন বাধ্য হয়ে। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে বহুদিন ধরেই। এবার খানাখন্দে ভরা রাস্তা মেরামতির দাবিতে শহরর পথের ধারে পোষ্টারিং করল সিপিআইএম।

রায়গঞ্জ পৌরসভার ১৬ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দেওয়ালে দেওয়ালে লাগানো হয়েছে হাতে লেখা পোষ্টার। কোনোটাতে লেখা আছে, দ্রুত রাস্তা মেরামতি করতে হবে। কোনোটাতে লেখা, কাটমানি খেয়ে রাস্তা তৈরি বন্ধ করো। আর এমন পোষ্টারিং ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরের রাজনৈতিক মহলে।

সিপিআইএম নেতৃত্বের দাবি, রায়গঞ্জ পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রতিটি গলি ও রাস্তা ভেঙে, খানাখন্দে ভরে গেছে। সেদিকে  সরকার নির্ধারিত পৌর বোর্ডের কোনো হুঁশ নেই। ফলে রায়গঞ্জ পৌরসভায় বসবাস কারী সাধারন মানুষেরা আজ প্রতিমুহূর্তে দূর্ঘটনার আশংকায় পথে নামছেন। তাই এইভাবে পোষ্টারিং করা হয়েছে। সিপিআইএম রায়গঞ্জ এরিয়া কমিটির সদস্য অরিন্দম ঘোষ বলেন,  পৌরসভা চালাচ্ছে একটি সরকার মনোনীত বোর্ড। যারা সারাবছর লোকদেখানো  রাজনীতিতেই মগ্ন।

সাধারণ মানুষের উপকার হয়, এমন কাজ ওরা করেন না। পৌর বাস টার্মিনাসের সামনে থেকে সুভাষগঞ্জ অভিমুখের রাস্তা এবং অজয় সংঘ থেকে সুভাষগঞ্জ মুখী রাস্তায় গাড়ি, টোটো, লরি, রিক্সা চলাচল করা দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। নিত্য দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অথচ সেই রাস্তা দুটোই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, শহরের প্রতিটি রাস্তার হাল বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই এই পৌর বোর্ডের। তাই এই পোষ্টারিং করা হয়েছে। আমরা আর কিছু দিন দেখব, তারপরও যদি রাস্তা মেরামতি না হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামতে বাধ্য হব।’

এদিকে ওই ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কোঅরডিনেটর হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন প্রাক্তন ওয়ার্ড কাউন্সিলর অরিন্দম সরকার। তিনি বর্তমানে রায়গঞ্জ পৌরসভার বোর্ড অফ এ্যাডমিনিষ্ট্রেটরের সদস্য। তিনি বলেন,  যে সমস্ত মানুষ ঘরে বসে রাজনীতি করেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন সিপিআইএম। এরা লোক বিছিন্ন হয়ে এসমস্ত কাজ করে আর শুধু  টিপ্পনী করেন। শহরের মানুষ আমাদেরকে কাজ করার দায়িত্ব দিয়েছেন। আমরা দায়িত্ব সহকারে সেই কাজ করছি।’

তিনি আরও বলেন,  ওই রাস্তা দুটোতে অধিক পরিমাণে গাড়ি চলাচল করে। তাই বছরে ২বার রাস্তা মেরামতি করা হয়। খুব শিগগিরই ওই রাস্তা সহ পৌর এলাকার সবকটি রাস্তা মেরামত করা হবে। ‘ যদিও সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য প্রদোৎ নারায়ন ঘোষ বলেন, আসল কাজে কাটমানি খেয়ে একবার রাস্তা তৈরি হয়েছে। আবার মেরামতির কাজে কাটমানি খাওয়ার পরিকল্পনায় এই ধরনের কাজ হয়। ফলে শহরের উন্নয়ন থমকে রয়েছে। এটা দীর্ঘদিন ধরে চলতে দেব না। পথে নামবে বাম নেতা কর্মীরা।

Leave a Comment