



#মালবাজার: প্রতিক্ষার অবশান, শুক্রবার ত্রিপাক্ষিক ভার্চুয়াল বৈঠকের পর অবশেষে ঘোষিত হলো ডুয়ার্স ও তরাইয়ের প্রায় ২০০ চাবাগানের চলতি বছরের পুজার বোনাস। কয়েকটি রুগ্ন ও দূর্বল ছাড়া প্রতিটি চা বাগানে ২০% হারে বোনাস দেওয়ার কথা ঘোসিত হয়।এরফলে পুজার আগেই প্রায় ২.৫ লক্ষ চা শ্রমিক উপকৃত হবে। বোনাস ঘোষিত হতেই খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছে ডুয়ার্সের চা শ্রমিক থেকে ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
উত্তরবঙ্গের চা- বলয়ে পুজার বোনাস এক দীর্ঘ এক বৎসরের প্রতিক্ষিত বিষয়। লক্ষ লক্ষ চা শ্রমিক সারা বছর কাজের পর এই বোনাসের জন্য অপেক্ষা করে। সারা বছর যে মজুরি পায় তা দিয়ে কোনক্রমে সংসার চলে। পুজার বোনাসের টাকা দিয়ে ছেলেমেয়েদের জামা কাপড় ও অন্যান্য জিনিসপত্র কেনে। এটাই সাবেক কাল থেকে চা বাগান এলাকায় চলে আসছে। যেহেতু শ্রমিকরা বোনাসের টাকা নিয়ে ডুয়ার্সের হাট ও বাজারে কেনাকাটা করতে আসে সেজন্য ডুয়ার্সের ব্যবসায়ীরা এই বোনাসের দিকে তাকিয়ে থাকে। বোনাস ঘোষিত হতেই তাদের মধ্যেও খুশির হাওয়া দেখা গেছে।
গত মঙ্গলবার এবছর বোনাস নিয়ে প্রথম বৈঠক হয়। সেদিন প্রথম থেকেই শ্রমিক সংগঠন গুলি ২০% হারে বোনাসের দাবীতে অনড় থাকে। কিন্তু, মালিক পক্ষ গুলির সংগঠন প্রস্তুত না থাকায় বৈঠক ফলপ্রসূ হয় নি। স্বাভাবিক ভাবে শুক্রবার দ্বিতীয় বৈঠকের দিকে তাকিয়ে ছিল সবাই। এদিন কয়েক ঘন্টা ভার্চুয়াল বৈঠকের পর বিকালে বোনাস নিস্পত্তি হয়।
তৃনমুল কংগ্রেস চা মজদুর ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক পুলিন গোলদার জানান, শান্ত পরিবেশে বৈঠক হয়েছে। ২০ % হারে বোনাস দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ৬১টি চাবাগানের জন্য ছার দেওয়া হয়েছে। পুজার আগেই ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বোনাস দিয়ে দেওয়া হবে। বোনাস ঘোষিত হতেই চাবাগানের শ্রমিকদের মধ্যে খুশির হাওয়া দেখা যায়। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা খুশি।
ডুয়ার্সের অন্যতম পুরানো চাবাগান ম্যানেজার সোনগাছি চাবাগানের রাধেশ্যাম খান্ডেলওয়াল জানান, যা হয়েছে ভালো হয়েছে। এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে কিছু নির্দেশিকা আসেনি। কাল এসে যাবে। তারপর কোম্পানির নির্দেশ মতো নিদ্বিষ্ট দিনে দেওয়া হবে।
