News Britant

প্রতিশ্রুতি সার মাল মহকুমায় দুই ব্লকের যোগাযোগের আজও ভরসা সেই বাঁশের সাকো

Listen

( খবর টি শোনার জন্য ক্লিক করুন )

#মালবাজারঃ প্রতিশ্রুতি সার হয়ে রয়ে গেছে। মাল মহকুমায় দুই ব্লকের যোগাযোগের ভরসা আজও সেই বাঁশের সাকো। ডুয়ার্সের মাল মহকুমা বর্তমানে রয়েছে ৪টি ব্লক। মাল, ক্রান্তি, মেটেলি ও নাগরাকাটা এই ৪ ব্লক নিয়ে মাল মহকুমা। সাবেককাল থেকে মাল  ব্লকের মধ্যেই ছিল ক্রান্তি ব্লক। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুটি আলাদা ব্লক হিসাবে ঘোষণা হয়। এই দুই ব্লকের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে পাহাড়ি চেল নদী।

এই নদীর দক্ষিণে রয়েছে ক্রান্তি ব্লক আর উত্তরে মাল ব্লক। সাবেক কাল থেকে চেল নদী পেরিয়ে কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েত হয়ে ক্রান্তি এলাকার চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা সহ দৈনন্দিন প্রয়োজনে মালবাজার শহরে আসে।পাশাপাশি মাল ব্লকের বিভিন্ন এলাকার মানুষ এই নদী পেরিয়ে ক্রান্তি এলাকায় যাতায়াত করে আসছে। প্রতিদিন কয়েকশ ছাত্রছাত্রী এই নদী পেরিয়ে মালবাজার কলেজ সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা প্রয়োজনে আসে। বর্তমানে আলাদা ব্লক হলেও যাতায়াতে ভাটা পড়েনি।

শীতের সময় শুখার মরসুমে নদীর বালি পেরিয়ে যাতায়াত করে মানুষ। অনেক সময় অসুস্থ রোগী নিয়ে রাতের অন্ধকারে নদী পেরিয়ে মালে আসে। বর্ষায় নদী দুরন্ত হয়ে ওঠে সেই সময় ভরসা বলতে বাঁশের সাকো। তাও স্থানীয় যুবকরা উদ্যোগ নিয়ে তৈরি করে। সেই বাঁশের সাকোর উপর দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে সবাই চলাচল করে। চেল নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবী আজকের নয়, দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে এই সেতুর দাবীতে দুই ব্লকের মানুষ সোচ্চার।

প্রথম বামফ্রন্ট আমলে ক্রান্তি বিধানসভা থেকে নির্বাচিত হয়ে রাজ্য মন্ত্রী সভায় গুরুত্বপূর্ণ স্থান পান প্রয়াত পরিমল মিত্র। সেই আমলে ক্রান্তি ধরলা নদীর উপর ধনতলা সেতু নির্মাণ হয়।ক্রান্তি এলাকা থেকে জলপাইগুড়ি ও ময়নাগুড়ির যোগাযোগ অনেক সহজ হয়ে যায়। তারপর থেকে চেল নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবী ওঠে। কিন্তু, আজও সেতু হয়নি। সম্প্রতি কালে বাইক এম্বুলেন্স দাদা পদ্মশ্রী করিমুল হক এই সেতুর দাবীতে সোচ্চার হয়েছেন।

তিনি জানান, এই সেতু হলে শুধু স্বাস্থ্য পরিসেবা নয়, দুই ব্লকের আর্থসামাজিক ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে। ওই এলাকার বহু স্থানীয় বাসিন্দা জানান, দীর্ঘ ৪০ বছরে বহু নেতা মন্ত্রী, বিধায়ক ও সাংসদ এখানে এসে সেতুর বিষয় নিয়ে গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন। কিন্তু, কাজ কিছুই হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা মঙ্গল ওঁরাও জানান, এলাকার কিছু যুবক এই সাকো নির্মাণ করেছে। এতে যাতায়াতের সুবিধা হয়েছে। তবে সেতু অত্যন্ত জরুরি। দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে চেল নদী দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে। প্রতিশ্রুতি সার হয়েছে। সেতু কিন্তু হয়নি। এতেই ক্ষুব্ধ দুই ব্লকের ললক্ষাধিক মানুষ। 

Leave a Comment