



#মালবাজার: আদিবাসী সমাজের রীতি রেওয়াজ মেনে ডুয়ার্সের মাল বাজার সহ আশেপাশের এলাকায় অনুষ্ঠিত হলো করম পুজা ও উৎসব। আমাদের দেশের আদিবাসী সমাজের অন্যতম প্রাচীন ধর্মীয় পুজা ও উৎসবের নাম করম পুজা। ভাদ্র মাসের শুক্ল পক্ষের একাদশী তিথিতে রাত্রি জাগরনের মধ্যে দিয়ে এই পুজা করার রীতি রয়েছে।
সেই প্রাচীন রীতি অনুযায়ী কয়েকদিন আগে থেকে মালবাজার শহরে বিডিও অফিস সংলগ্ন মাঠে মঞ্চ তৈরি করে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বিশিষ্ট আদিবাসী গবেষক তেজকুমার টোপ্পোর বাড়ি থেকে করম গাছের তিনটি ডাল কেটে সেই ডাল স্নান করিয়ে শোভাযাত্রা সহকারে ধামসা মাদল বাজিয়ে সুসজ্জিত মঞ্চের বেদিতে পোতা হয়।
এরপর আদিবাসী মহিলারা মাথায় করে সদ্য অঙ্কুরিত জাওয়া ফুলের পাপড়ি নিয়ে শোভাযাত্রা সহকারে মঞ্চে আসে। এরপর পুরুষরা ধুতি পড়ে মাথায় হলুদ পাগড়ি ও জাওয়া ফুলের পাপড়ি লাগিয়ে মঞ্চের পুজার চারদিকে বসেন। মহিলারা লালপেড়ে শাড়ি পড়ে পুজার মঞ্চের বসেন। এরপর আদিবাসী রীতি মেনে পাহানেরা পুজা পাঠ করেন। এভাবেই গোটা রাত পুজ চলে। বুধবার করম পুজা মাঠে মেলা শুরু হয়।
করম পুজা উপলক্ষে আশেপাশে চাবাগান ছুটি থাকায় বুধবার সকাল থেকেই মাঠে ভির জমে ওঠে। উপস্থিত হন বিশিষ্ট জনেরা। বিভিন্ন চাবাগানের আদিবাসী দল সুসজ্জিত সাঁজে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। বিকালে নিয়ম মেনে করম গাছের ডাল বিসর্জন দেওয়া হয়। আদিবাসী গবেষক তেজকুমার বাবু বলেন, আদিবাসীরা মুলত প্রকৃতির উপাষক। করম পুজা অন্যতম এক প্রকৃতির উপাদান গাছের পুজা হয়।শুধু মালবাজার নয়, বড়দীঘি, নাগরাকাটা, চালসা এলাকায় রীতি মেনে করম পুজা করা হয়।
