



#ইসলামপুর: বিবেকানন্দ বলেছেন, “জীবে প্রেম করে যেইজন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর”। এমনই অনুভব খুঁজে পাওয়া গেল ইসলামপুরের জনৈক অটোচালকের ভাবনায়। দু:স্থ মানুষদের জন্য অটোচালকের সেই ভাবনাকে রীতিমতন কুর্নিশ জানিয়েছে এলাকার অন্যান্য সমাজকর্মীরা। শুধু মাত্র মানুষের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্যই গর্ভবতী মা ও নবজাতক শিশুদের বিনামূল্যে অটো পরিষেবা দিচ্ছেন ইসলামপুরের বিশ্বজিৎ থাপা।
দিনে আট ঘন্টা হাসপাতালে প্রহরীর কাজ করার পরে বাকি সময়ে নিজের অটো চালায় বিশ্বজিত বাবু। বাড়ি ইসলামপুর হাসপাতাল পাড়া সংলগ্ন এলাকায়। তিনি জানান, অনেক সময় রাত বিরেতে গর্ভবতী মা ও সদ্যজাত শিশুদের হাসপাতলে আসার ক্ষেত্রে গাড়ি পাওয়া যায় না। যার ফলে বিশেষ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় তাদের।
আর এই অসুবিধা দূর করার জন্য সদ্যোজাত শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের তাদের বাড়ি থেকে বিনামূল্যে হাসপাতালে পৌঁছে দেয় বিশ্বজিত। তার অটোর মধ্যেই লেখা আছে গর্ভবতী মা এবং শিশুদের জন্য নিঃশুল্ক অটো পরিষেবার কথা। তাকে ফোন করলেই দশ থেকে পনেরো মিনিটের মধ্যেই সে রোগীর বাড়িতে গিয়ে হাজির হয় সে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুঃস্থ প্রসূতিরা অটো ভাড়া দিতে অপারগ। এসব ক্ষেত্রে বিশ্বজিৎ বাবুর অবশ্য ভাড়া চাই না। চাই শুধুমাত্র আশীর্বাদ। আর সেই আশীর্বাদ কে পাথেয় করেই বাকি জীবনটা এভাবেই সমাজ সেবায় নিমগ্ন থাকতে চান তিনি।
কিন্তু তাতে কোনো আক্ষেপ নেই বিশ্বজিত বাবুর। মানুষের আশীর্বাদ পেলে তাতেই খুশি সে। আজ কালকার দিনে এমন পরোপকারী মানুষের দেখা মেলা অত্যন্ত বিরল। তেমনই এক ব্যক্তিত্ব বিশ্বজিৎ থাপা। যিনি শুধুমাত্র প্রসূতিকে অটো চালিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করেন তাও নয় অর্থাৎ বাড়ি থেকে রোগী এবং রোগীর পরিবারের সদস্যদের হাসপাতালে পৌঁছবার ক্ষেত্রে অন্যান্য সহযোগিতাগুলিও করে থাকেন তিনি।
