News Britant

হেমতাবাদ কাকড়শিং-এ ৫০০ বছর ধরে চতুর্ভূজা রূপে পূজিতা দেবী

Listen

( খবর টি শোনার জন্য ক্লিক করুন )

#হেমতাবাদঃ ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত গ্রাম হেমতাবাদ ব্লকের প্রাচীন পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম হল উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের রায়গঞ্জ-বালুরঘাট রাজ্য সড়কের পাশে অবস্থিত কাকড় শিং-এর চন্ডী পুজো। এই পুজো ৫০০ বছরের পুরনা। এই পুজোয় প্রতি বারের ন্যায় এবারেও নিয়মনিষ্ঠা মেনেই চলছে পুজোর প্রস্তুতি।

পূজা উদ্যোক্তারা জানান, “শুধু উত্তর দিনাজপুরবাসী নয় কলকাতা, বালুরঘাট সহ দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ ছুটে আসে এই পুজো দেখতে। এই পুজোর বিশেষত্ব আরও দশটি পুজো থেকে খানিকটা আলাদা। দেবী দুর্গার দশভূজা রূপের দৃষ্টান্ত আমরা বহু দিন ধরে জেনে এসেছি। কিন্তু এখানে দেবী দুর্গা একটু ভিন্ন। এখানে দেবী দুর্গা চতুর্ভূজা, উৎমাই চন্ডী রূপে পূজিত হন।”

স্থানীয়দের মুখে জানা যায়, বাংলাদেশের রাজশাহী জমিদাররা এই পুজোর প্রচলন করেছিলেন প্রায় ৫০০ বছর আগে। এক সময় এই এলাকা জুড়ে ছিল ঘনজঙ্গল। সময়ের সঙ্গে এখন এখানে দেবী উৎমাই চন্ডীর পাকা মন্দির স্থাপন হয়েছে।

মায়ের নামে নিজস্ব ৭-৮ বিঘা জমি রয়েছে। মহালয়ার পর থেকেই গোটাগ্রাম জুড়ে চলে নিরামিষ ভোজন। এই দেবীর কাছে সাধারণ মানুষ যে যার মনস্কামনা নিয়ে আসে। মা উৎমাই চন্ডী তা পূরণ করেন বলে জানান গ্রামবাসীরা।

পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য অর্জুণ দেবশর্মা বলেন, পুজোর প্রতিটি দিন প্রসাদ বিতরণের আয়োজন করা হয় স্থানীয়দের পাশাপাশি ভক্তদের জন্য। দশমীতে মিষ্টি মুখ করানোর পরে বিসর্জন দেওয়া হলেও দেবী মূর্তি মন্দিরে থাকে। দশমীর পরে অষ্টমঙ্গলা পুজো হয়। এরপর সারা বছর মন্দিরে দেবীর প্রতিমা রেখে পুজা হয়। আবার দুর্গাপুজোর আগে নিয়ম অনুসারে বিসর্জন দেওয়া হয় দূর্গা প্রতিমার। পুজোকে কেন্দ্র করে বসে ছোট মেলাও। পুজোর দিন ভক্তদের ভিড় সামলাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে হেমতাবাদ থানার পুলিশ। পাশাপাশি নিরাপত্তা আঁটসাঁট রাখতে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয়।

শুধু উত্তর দিনাজপুর জেলা নয় এই পুজোর সময় আশপাশের জেলা সহ কলকাতা ও বিভিন্ন রাজ্য থেকে লোকেরা নিজেদের পুজো দিতে আসেন এবং নিজেদের মনস্কামনা নিয়ে আসেন।

এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা মলেন দেবশর্মা বলেন, আগে খরের ঘড়ের চালার নিচে মায়ের পুজা হত। এখন পাকা মন্দিরে পুজোর আয়োজন করা হয়।  মা উৎমাই চন্ডী কাউকে খালি হাতে ফেরান না তাই দূর দুরান্ত থেকে ভক্তরা পুজা দিতে আসেন।

Leave a Comment